দখল-দূষণে অস্তিত্ব সঙ্কটে থাকা মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার মাইজপাড়া খাল উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার পাথুরিয়ারপাড় থেকে কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দখল ও দূষণে বন্ধ হয়ে যায় মাইজপাড়া খালের পানি প্রবাহ। ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। ফলে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের রোগ। এছাড়াও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবহার করার জন্য রাস্তা নির্মাণ করেন খালটির পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

নোবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হলেন ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’

ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফ-উল আরেফীন বলেন, “মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় মাইজপাড়া খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র অভ য ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ