পানি-স্যানিটেশন খাতে টেকসই বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে
Published: 17th, May 2025 GMT
আসন্ন অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্থানীয় সরকার ও পানি-স্যানিটেশন খাতে ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজন। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তারা এ দাবি জানান। উন্নয়ন সংস্থা ডর্প এ আয়োজন করে। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ‘হেলভেটাস বাংলাদেশ’।
ডর্প-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং উপনির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.
অনুষ্ঠানে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর এবং ডর্প-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এ এইচ এম নোমান। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও অংশীজন আলোচনায় অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদভিত্তিক জনপ্রতি বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সেবা নিতে পারেন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজেট ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে বাজেট সংলাপ আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের বাস্তব চাহিদা বাজেটে প্রতিফলিত সম্ভব।
মূল প্রবন্ধে মাহফুজ কবীর দেশের পানি ও স্যানিটেশন খাতে সঠিক বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোতে বাজেট বাড়লেও গ্রামীণ এলাকায় সে তুলনায় বরাদ্দ আশানুরূপ নয়। এই বাজেট বৈষম্য দূর করে সমতাভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই বাজেট নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোর জন্য পানি ও স্যানিটেশন অবকাঠামো উন্নয়নে পর্যাপ্ত ও ন্যায্য বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স থ ন য় সরক র ম হ ম মদ বর দ দ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব