নড়াইলে রেললাইনের পাশে পড়েছিল যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ
Published: 19th, May 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সারুরিয়া রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় আনুমানিক ২০ বছর বয়সি একজন যুবকের মরদেহ উদ্বার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সারুলিয়া রেললাইনের পাশে ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
তবে এখনো যুবকটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মরদেহটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা/শরিফুল/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল হ গড় মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ‘টর্চার সেল’ এখন ব্যায়ামাগার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ব্যায়ামাগার। তবে সেটা দখল করে দীর্ঘদিন সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, যা শিক্ষার্থীরা টর্চার সেল নামেই চিনতেন।
ওই কক্ষটি ফিরেছে আগের রূপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন কক্ষটি দখলমুক্ত করে আবারো ব্যায়ামাগারে স্থানান্তর করেছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবরে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী ব্যায়ামাগারটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই ব্যায়ামাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয় শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ। অতীতে দখলকৃত এ ব্যায়ামাগার থেকে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আরো পড়ুন:
জবিতে প্রথম চলচ্চিত্র উৎসবের পোস্টার উন্মোচন
কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ দিনে ৪১ শিক্ষার্থী অসুস্থ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের তথ্যমতে, প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্যায়ামাগারের জন্য ভবনটি নির্মিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী ব্যায়ামাগারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কার্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও ছাত্রলীগের দাপুটে নেতাকর্মীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই কক্ষটি ছাত্রলীগ ব্যবহার করতো ‘টর্চার সেল’ হিসেবে। এখানে শিক্ষার্থীদের ধরে এনে নির্যাতন চালানো হত।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার পতনের প্রায় ১০ মাস পর ব্যায়ামারটি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এটা প্রশাসনিক ভবনের পূর্ব পাশে টিন শেড বিল্ডিংয়ে অবস্থিত। এর আগে, ছাত্রলীগ কক্ষটি দখল করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলার উন্মুক্ত স্থানে ব্যয়ামাগারের কার্যক্রম চলেছিল।
ব্যামাগারে আসা শিক্ষার্থী শান্ত দেবনাথ বলেন, “অনেক প্রতীক্ষার পরে একটা ব্যায়ামাগার পেয়েছি। তবে ব্যায়ামাগারে সরঞ্জাম অনেক কম। বৃষ্টি হলে পানি চুইয়ে ভিতরে আসে। একজন পেশাদার প্রশিক্ষক নিয়োগ করা হলে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে ব্যায়াম করতে পারবে।”
আরেক শিক্ষার্থী সৌরভ নন্দী বলেন, “ব্যায়মাগার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আমাদের সকাল ৯টায় ক্লাস থাকায় তখন আসতে পারিনা। ৬টা থেকে খোলা থাকলে সকালে এসে শরীরচর্চা করতে পারতাম। ব্যামাগারে সরঞ্জাম বাড়ানোর কথা বললেও বাড়ানো হয়নি। এছাড়া ব্যায়ামাগারে পানি ও পাখার কোনো ব্যবস্থা নেই।”
ব্যায়ামাগার উদ্বোধনের পর স্থানান্তরের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, “কর্তৃপক্ষ আমাকে বলেছিল অন্য জায়গায় শিফট করতে, তাই করেছিলাম। এখন বলেছে নির্ধারিত জায়গায় শিফট করার জন্য। এজন্য এখন এখানে শিফট করেছি। আর সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষকের বিষয়টি প্রশাসন দেখবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. হায়দার আলী বলেন, “আগে তো ব্যায়ামাগার ক্যাফেটেরিয়ার দোতলায় ছিল। শিক্ষার্থীরা এসে দাবি জানাল, ব্যায়াগার নেই। খোঁজ নিয়ে জানলাম, ব্যায়ামাগারের জন্য নির্ধারিত ভবন রয়েছে। পরে সেখানে স্থানান্তরিত করেছি।”
তিনি বলেন, “এই অর্থবছরে পর্যাপ্ত বাজেট নেই। নতুন অর্থবছরে বাজেট আসলে ক্রীড়া কমপ্লেক্সে দোতলায় কাজ সম্পন্ন করে সেখানে ব্যায়ামাগার স্থানান্তর করবো ইনশাআল্লাহ।”
ঢাকা/মেহেদী