জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হল সংলগ্ন এবং বার্ড ফ্লাই জোন খ্যাত লেকের পাশে চারুকলা বিভাগের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টায় রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন শহীদ সালাম-বরকত হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দুই দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন তারা।

দীর্ঘদিন ধরেই একই স্থানে হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাদের আপত্তির কারণে ভবন নির্মাণের জায়গা পরিবর্তন করা হলেও পুনরায় পূর্বের স্থানে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা। 

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে মেট রোভ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যাচ্ছে ‘ইউআইইউ মেরিনার’ দল

সোনারগাঁয়ে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ১০ ছাত্রী

তাদের দাবি দুটি হলো- চারুকলা ভবনের স্থান পরিবর্তন করে সালাম-বরকত হল সংলগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উসকানিমূলক আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট গত ১৭ মার্চ বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চারুকলা ভবন সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে সিন্ডিকেটের কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু তা লঙ্ঘন করে, প্রশাসন গোপনে পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আবারো একই স্থানে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রকল্প পরিচালক ময়েজ উদ্দিন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) তৈরিতে জালিয়াতি করেছেন এবং আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন ছাড়াই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। তখন শিক্ষার্থীদের বিকল্প প্রস্তাব পরিত্যক্ত ফজিলাতুন্নেছা হলের কথা বললেও প্রশাসন তা বিবেচনায় নেয়নি।

তারা বলেন, প্রতিবাদের মুখে ক্যাম্পাসে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করে জাবি প্রশাসন। ওই সুযোগে প্রায় দেড় শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়, যার মধ্যে বার্ডস ফ্লাই জোন খ্যাত লেক সংলগ্ন অতিথি পাখির আবাসস্থলও ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ‘ইকোলজিকাল হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত এই এলাকা বর্তমানে ধ্বংসের মুখে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “গতকাল (রবিবার) এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শহীদ সালাম—বরকত হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তদন্ত কমিটি আজ (সোমবার) বিকেল ৪টায় মিটিং করার কথা রয়েছে।”

গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভবন নির্মাণের স্থানে শহীদ সালাম—বরকত হলের শিক্ষার্থীরা গাছের চারা রোপণ করতে গেলে চারুকলা বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী অশালীন মন্তব্য ও অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন। এছাড়া তারা হলের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যায়িত করেন।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল র শ ক ষ র থ ভবন ন র ম ণ র চ র কল

এছাড়াও পড়ুন:

জাবিতে আবাসিক হলের পাশে একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হল সংলগ্ন এবং বার্ড ফ্লাই জোন খ্যাত লেকের পাশে চারুকলা বিভাগের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টায় রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন শহীদ সালাম-বরকত হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দুই দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন তারা।

দীর্ঘদিন ধরেই একই স্থানে হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাদের আপত্তির কারণে ভবন নির্মাণের জায়গা পরিবর্তন করা হলেও পুনরায় পূর্বের স্থানে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা। 

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে মেট রোভ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যাচ্ছে ‘ইউআইইউ মেরিনার’ দল

সোনারগাঁয়ে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ১০ ছাত্রী

তাদের দাবি দুটি হলো- চারুকলা ভবনের স্থান পরিবর্তন করে সালাম-বরকত হল সংলগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উসকানিমূলক আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট গত ১৭ মার্চ বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চারুকলা ভবন সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে সিন্ডিকেটের কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু তা লঙ্ঘন করে, প্রশাসন গোপনে পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আবারো একই স্থানে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রকল্প পরিচালক ময়েজ উদ্দিন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) তৈরিতে জালিয়াতি করেছেন এবং আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন ছাড়াই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। তখন শিক্ষার্থীদের বিকল্প প্রস্তাব পরিত্যক্ত ফজিলাতুন্নেছা হলের কথা বললেও প্রশাসন তা বিবেচনায় নেয়নি।

তারা বলেন, প্রতিবাদের মুখে ক্যাম্পাসে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করে জাবি প্রশাসন। ওই সুযোগে প্রায় দেড় শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়, যার মধ্যে বার্ডস ফ্লাই জোন খ্যাত লেক সংলগ্ন অতিথি পাখির আবাসস্থলও ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ‘ইকোলজিকাল হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত এই এলাকা বর্তমানে ধ্বংসের মুখে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “গতকাল (রবিবার) এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শহীদ সালাম—বরকত হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তদন্ত কমিটি আজ (সোমবার) বিকেল ৪টায় মিটিং করার কথা রয়েছে।”

গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভবন নির্মাণের স্থানে শহীদ সালাম—বরকত হলের শিক্ষার্থীরা গাছের চারা রোপণ করতে গেলে চারুকলা বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী অশালীন মন্তব্য ও অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন। এছাড়া তারা হলের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যায়িত করেন।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ