জাবিতে আবাসিক হলের পাশে একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ
Published: 19th, May 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হল সংলগ্ন এবং বার্ড ফ্লাই জোন খ্যাত লেকের পাশে চারুকলা বিভাগের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টায় রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন শহীদ সালাম-বরকত হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দুই দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই একই স্থানে হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাদের আপত্তির কারণে ভবন নির্মাণের জায়গা পরিবর্তন করা হলেও পুনরায় পূর্বের স্থানে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে মেট রোভ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যাচ্ছে ‘ইউআইইউ মেরিনার’ দল
সোনারগাঁয়ে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ১০ ছাত্রী
তাদের দাবি দুটি হলো- চারুকলা ভবনের স্থান পরিবর্তন করে সালাম-বরকত হল সংলগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উসকানিমূলক আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট গত ১৭ মার্চ বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চারুকলা ভবন সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে সিন্ডিকেটের কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু তা লঙ্ঘন করে, প্রশাসন গোপনে পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আবারো একই স্থানে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রকল্প পরিচালক ময়েজ উদ্দিন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) তৈরিতে জালিয়াতি করেছেন এবং আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন ছাড়াই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। তখন শিক্ষার্থীদের বিকল্প প্রস্তাব পরিত্যক্ত ফজিলাতুন্নেছা হলের কথা বললেও প্রশাসন তা বিবেচনায় নেয়নি।
তারা বলেন, প্রতিবাদের মুখে ক্যাম্পাসে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করে জাবি প্রশাসন। ওই সুযোগে প্রায় দেড় শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়, যার মধ্যে বার্ডস ফ্লাই জোন খ্যাত লেক সংলগ্ন অতিথি পাখির আবাসস্থলও ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ‘ইকোলজিকাল হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত এই এলাকা বর্তমানে ধ্বংসের মুখে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “গতকাল (রবিবার) এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শহীদ সালাম—বরকত হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তদন্ত কমিটি আজ (সোমবার) বিকেল ৪টায় মিটিং করার কথা রয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভবন নির্মাণের স্থানে শহীদ সালাম—বরকত হলের শিক্ষার্থীরা গাছের চারা রোপণ করতে গেলে চারুকলা বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী অশালীন মন্তব্য ও অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন। এছাড়া তারা হলের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যায়িত করেন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল র শ ক ষ র থ ভবন ন র ম ণ র চ র কল
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ৪টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। শুধু নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপির জাতীয় স্থানীয় কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আজহরুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ মাসুদুজ্জামান মাসুদ ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে (সদর-বন্দর) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বর্তমান সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনটি এখনো ফাঁকা রেখেছে দলটি। ধারণা করা হচ্ছে এ আসনটিতে গতবারের মতো জোটের প্রার্থী ছাড় পাবেন। তবে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী শাহ্ আলম, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া, সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীও রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও যুব উন্নয়নের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওলিউর রহমান আপেল।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর ও তার ভাতিজা বিএনপির সহঅর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জে) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২৩৮ আসনে আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছি। আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছেন, তারা যে সমস্ত আসনে আগ্রহী সে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী ঘোষণা করবো। এটা আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, এর মধ্যেই পরিবর্তন হতে পারে।
বিশেষ করে, আমাদের শরিক দলগুলোর সাথে আলোচনা এবং স্থায়ী কমিটি যদি মনে করে কোনো আসনে পরিবর্তন আনবে, সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পরিবর্তন আনবেন।”