ডামি নির্বাচন ও ভোট চুরির অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের নামে টাঙ্গাইলের আদালতে মামলা
Published: 19th, May 2025 GMT
২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন আয়োজন ও ভোট চুরির অভিযোগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার ভূঞাপুর উপজেলা আমলি আদালতে কামরুল হাসান (৫৫) নামের এক ব্যক্তি মামলার আরজি করেন। আদালতের বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম মামলাটি আমলে নিয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।
বাদী কামরুল হাসান ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের মৃত মমতাজউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু রায়হান খান বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পরে ভূঞাপুর থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, মামলায় ১৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো.
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের নির্দেশক্রমে শেখ হাসিনা অন্য আসামিদের যোগসাজশে বিগত ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেন। তিনি (বাদী কামরুল হাসান) ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের ভারই উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন। তিনি অন্য ভোটারদের সঙ্গে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয় এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। নির্বাচনে পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র দখল করে জোর করে নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেন। এভাবে অন্যের ভোট চুরি করে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর হাসান (ছোট মনিরকে) সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করা হয়। এতে দেশ ও জনগণের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা। ফাইল ছবি: সমকাল
প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন নূরুল হুদার জামিন আবেদন করে তার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজিব। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নূরুল হুদার আইনজীবী সজিব বলেন, আমরা আজ নূরুল হুদার জামিন চেয়ে আবেদন করি। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। কী গ্রাউন্ডে তার জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে, সেই আদেশের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নূরুল হুদা। দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে ওইদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তদন্ত কর্মকর্তা তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে।