বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের যখন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখন একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়াচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন, জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজিত এক সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতেই সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে একটি মহল। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সজাগ থাকতে হবে, সেইসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে, সমস্ত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য। সীমান্তের ওপার থেকে যে ষড়যন্ত্র চলছে- সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে। কেউ যেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৗমত্ব বিলীন করতে না পারে।

এদিকে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক দল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। সেই থেকে বিএনপি এই দিবসটিকে ‘শাহাদাৎ দিবস' হিসেবে পালন করে।

মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দল ও অঙ্গ-সংগঠনের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচি ঘোষণা করে রিজভী বলেন, যেহেতু ৭ জুন কোরবানি ঈদ হওয়ায় আমাদের কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কর্মসূচি হবে আট দিনব্যাপী। অর্থাৎ ২৫ তারিখ থেকে ২ জুন পর্যন্ত।

৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনা সভা, দুস্থদের মধ্যে চাল-ডালসহ বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।

শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুইদিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অর্ধনিমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেবে দলটি।

কর্মসূচির মধ্যে আছে, ২৯ মে বিকাল তিনটায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং মসজিদে মসজিদে গণদোয়ার আয়োজন করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ষড়যন ত র ফখর ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রাসায় ‘বলাৎকার’–সম্পর্কিত উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ হেফাজত নেতার

দেশের ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের দেওয়া একটি বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। তিনি বলেছেন, কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি ন্যক্কারজনক ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ দেশের হাজারো কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসাগুলোর বিরুদ্ধে ‘বলাৎকারের’ অভিযোগ এনে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করেছেন।

মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, ‘উপদেষ্টার এই বক্তব্য কেবল অযৌক্তিকই নয়, বরং ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই আমরা মনে করি।’

মাওলানা রাব্বানী বলেন, এ দেশের মাদ্রাসাগুলো মহান আল্লাহ তায়ালার ভয় ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ মোতাবেক চরিত্র গঠনের মহান লক্ষ্যে নিবেদিত। এসব প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ ছাত্র জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে ইলম ও আমলের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কোনো দুঃখজনক ঘটনা থাকলেও তা দেশের পুরো ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করার অজুহাত হতে পারে না। এটি চরম অন্যায় এবং ঘৃণিত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, শারমীন এস মুরশিদের এই বক্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ঢাকায় স্থাপন ও সমকামী দূত নিয়োগের মতো জাতীয়ভাবে অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত ইস্যু থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে এ বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এটি শুধু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমিক ঐক্যের বিরুদ্ধেও একটি গভীর ষড়যন্ত্র।’

বিবৃতিতে মুহিউদ্দিন রাব্বানী উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদকে এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া ভবিষ্যতে কোনো সরকারি দায়িত্বশীল ব্যক্তি যেন ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এমন দায়িত্বহীন, অসত্য ও উসকানিমূলক মন্তব্য না করেন, সে বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং ধর্মীয় শিক্ষার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সংবিধানসম্মত সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদ্রাসায় ‘বলাৎকার’–সম্পর্কিত উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ হেফাজত নেতার
  • গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা
  • ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন ও পিএসসি সংস্কারের দাবি
  • জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা
  • পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
  • ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার হয়েছেন রাবির অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী
  • এনআরবি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ৪০০ কোটি টাকার ঋণ
  • তাজিয়া মিছিলে বিপজ্জনক বস্তু বহন নিষিদ্ধ
  • বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত পাবনার আশিক-গৌরব-ধ্রুব
  • সাইকেল মেকানিকের ছেলে আশিক এখন বিসিএস ক্যাডার