দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে প্রথম চারদিনের ম্যাচে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। চট্টগ্রামের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২৩৩ রান তুলে মঙ্গলবার প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

ওপেনার আশিকুর রহমান হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। তিনি করেছেন ১০৪ রান। তার ব্যাটে ভর করেই চওড়া হয়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড। ১৪৩ বলে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান শত রানের ইনিংসটি। অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন দিপু ৪২ এবং প্রীতম কুমার ৩১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

সেঞ্চুরিয়ান শিবলি ছাড়াও সাজঘরে ফিরেছেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (১২), আইচ মোল্লা (২৪) ও আরিফুল ইসলাম (৩)।

আরো পড়ুন:

আইপিএলে নতুন ইতিহাসের পাতায় হার্শাল

পাকিস্তান-বাংলাদেশের তিন ম্যাচের সিরিজ, সব ম্যাচ লাহোরে

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ইনিংস শুরু থেকেই এগিয়ে নিয়ে যান শিবলি। আরেক ওপেনার রিজওয়ান বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মারমুখী ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন শিবলি। স্পিনার শেপো ইনোসেন্টকে ডিপ কভার দিয়ে চার মেরে ৪৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতেও হাঁকান ছক্কা। নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছে প্রথমে চার, পরে একই বোলারকে ছক্কা মেরে পেরিয়ে যান শতরানের গণ্ডি। তবে সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। অধিনায়ক শাহাদাতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন সেঞ্চুরিয়ান শিবলি।

ভালো অবস্থানে দিন শেষ করা বাংলাদেশ আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে কী করে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ বল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠক চায় বাংলাদেশ

তিন বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে না। ২০২২ সালের মার্চে নয়াদিল্লিতে শেষ বৈঠকটি হয়েছিল। বাংলাদেশ এ বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়ে এলেও সাড়া দিচ্ছে না ভারত। প্রথা অনুযায়ী এ দফার বৈঠক ঢাকায় হওয়ার কথা।

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ১৭ মে ভারত বিধিনিষেধ আরোপ করায় উভয় দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকের তাগিদ বেশি করে অনুভব করছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে এ বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তা পাঠানোর কথা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে। এরপর হাইকমিশন চিঠিটি ভারত সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা।

সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ভারতের জবাব এলে বোঝা যাবে কবে বৈঠক হতে পারে।

আজকের বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যদি উভয় দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয় তাহলে ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়ে দর-কষাকষি করা হবে। তিনি বলেন, ‘অংশীজনদের মতামত নিলাম, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও শুনলাম। পরিস্থিতির আর যাতে অবনতি না হয়, সে জন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। এ নিয়ে পরে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গেও আলোচনা করব। তবে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশে ভারতের বিধিনিষেধ এলেও এ ব্যাপারে পাল্টা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।’

ভারতের বিধিনিষেধ দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্যই ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যসচিব। তিনি বলেন, সচিব পর্যায়ের একটা ফোরাম আছে। সমস্যা সমাধানে এখন সে ফোরামে বৈঠক হবে।

স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানিতে ১৭ মে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত। এসংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমলপানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানি করা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন বা এলসিএসের জন্যও তা প্রযোজ্য হবে।

ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থলপথের বদলে দেশটির নভো সেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তাদের আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন।

বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, ‘ভারতের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমরা তাঁদের বলতে চাই, আসুন বসি এবং একটা সুরাহার পথ বের করি।’

ভারতের বিধিনিষেধ আরোপের পরপরই যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ৩৬ ট্রাক তৈরি পোশাক ও লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকা পড়ে। এ ছাড়া পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতে রপ্তানির জন্য নেওয়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এক ট্রাক প্লাস্টিক পণ্য আটকে গেছে। এ ট্রাকে রয়েছে পিভিসি দরজা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতমুখী রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কারণ, ভারতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি হতো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ