ভারতের আমদানি বিধিনিষেধকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বলছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
Published: 20th, May 2025 GMT
স্থলপথে বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে ভারতের বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসায়ীদের সাময়িক ক্ষতি হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এটি আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে যুব সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় বলেছেন, “এই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের থেকে বেশি ভারতেরই ক্ষতি হবে।” কারণ, ভারত বাংলাদেশে বেশি রপ্তানি করে থাকে। তবে অবশ্যই যেহেতু এটা হঠাৎ সিদ্ধান্ত এসেছে, সে ক্ষেত্রে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে এবং সেই বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজা পর্যন্ত কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকবে। ব্যবসায়ীদের সাময়িক হয়তো কিছু ক্ষতি হবে, তবে দীর্ঘ মেয়াদে আমরা মনে করি, এটি আমাদের আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ।’
আরও পড়ুনস্থলপথে বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারত১৭ মে ২০২৫বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যখন সরকার কাজ করে, তখন একটা বডি হিসেবে কাজ করে। কারও ব্যক্তিগতভাবে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে এ ধরনের বড় ডিসিশন, একা ব্যক্তি হিসেবে আমি নিচ্ছি, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আর যেহেতু এখানে আইনি জটিলতা আছে এবং আদালতের বিচারাধীন বিষয়, এখানে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে লাভ নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘যে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন চলছে, সেটির যে মামলা ছিল, সেই মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়েও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা ছিল না। যেহেতু নানা ধরনের আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে, মেয়াদসংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে। জটিলতাগুলো নিরসনে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, একটি রিট পিটিশন হয়েছে। আমরা লিগ্যাল নোটিশও পেয়েছি, ওই রিট পিটিশনের শুনানি আজকে হওয়ার কথা। তো একদিকে বিচারাধীন, আরেক দিকে যেসব আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোর সমাধান হলেই আমরা কোনো একটা সিদ্ধান্ত দিতে পারব।’
আরও পড়ুননগর ভবনের সামনে মঞ্চ বানিয়ে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ, রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ৭ ঘণ্টা আগেকার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করছেন—এ ব্যাপারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, প্রশ্ন করলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। নিষিদ্ধ সংগঠনের সভা–সমাবেশসহ সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। আশা করছি, তারা এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে যুব সমাবেশ ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
আরও পড়ুনকার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ১১১৮ মে ২০২৫সমাবেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক পটপরিবর্তন এবং জনগণকে নতুন স্বপ্ন দেখানোর ক্ষেত্রে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান একটি বড় উদাহরণ। এ গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণেরা শুধু স্বৈরশাসকের পরিবর্তন চায়নি, চেয়েছে দেশের একটি গুণগত পরিবর্তন, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক সংস্কার।’
জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মহা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট সরক র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলিদের হামলা-নির্যাতন: অতিষ্ঠ বেদুইন পরিবারগুলো ছাড়ছে পশ্চিম তীর
ইসরায়েলের সেনাদের আশ্রয়–প্রশ্রয়ে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের নির্যাতন, হামলা ও হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরের অন্তত ৫০টি ফিলিস্তিনি বেদুইন পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, গতকাল শুক্রবার সকালে জেরিকোর উত্তর-পশ্চিমে আরব মলেইহাত বেদুইন জনগোষ্ঠীর ৩০টি পরিবারকে জোরপূর্বক সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আগের দিন গত বৃহস্পতিবারও সেখান থেকে ২০টি পরিবার সরে যেতে বাধ্য হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলা বেড়েই চলেছে।
জোরপূর্বক উচ্ছেদের শিকার হওয়ার আগে ওই এলাকায় ৮৫টি বেদুইন পরিবারের প্রায় ৫০০ জনের বসবাস ছিল।
স্থানীয় অধিকার সংগঠন ‘আল-বাইদার অর্গানাইজেশন ফর দ্য ডিফেন্স অব বেদুইন রাইটস’-এর পরিচালক হাসান মলেইহাত জানান, বছরের পর বছর ধরে কোনো সহায়তা ছাড়াই টিকে থাকার চেষ্টা করে আসছিল এ পরিবারগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত তারা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।
বছরের পর বছর ধরে কোনো সহায়তা ছাড়াই টিকে থাকার চেষ্টা করে আসছিল বেদুইন পরিবারগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত তারা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।হাসান মলেইহাত, ‘আল-বাইদার অর্গানাইজেশন ফর দ্য ডিফেন্স অব বেদুইন রাইটস’-এর পরিচালকওয়াফাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া মলেইহাত নামের এক বেদুইন নারী জানান, সশস্ত্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা বন্দুক দেখিয়ে তাঁকে ও আশপাশের পরিবারগুলোকে হুমকি দেন। পরে জেরিকোর দক্ষিণের আকবাত জাবর শরণার্থী শিবিরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।
একই সম্প্রদায়ের বাসিন্দা সাত সন্তানের বাবা মাহমুদ মলেইহাত (৫০) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা আর সহ্য করতে পারছিলাম না, তাই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অস্ত্রধারী বসতি স্থাপনকারীরা আমাদের ওপর হামলা চালান আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁদের রক্ষা করে। আমরা কিছুই করতে পারি না।’
ইসরায়েলি হামলার মুখে শরণার্থীশিবির ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। পশ্চিম তীরের জেনিনে