ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে সৃষ্ট মানবিক সংকটে গাজার বাসিন্দাদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, আমরা গাজার মানুষকে অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

এমনকি গাজায় মানবিক বিপর্যয় এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা সহ্য করা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ১৯ মাস ধরে চালানো এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজাতে অবরোধও জারি রেখেছে। এর ফলে গাজায় বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, গাজায় নিরপরাধ শিশুদের ওপর চলমান বোমাবর্ষণ এবং মানবিক বিপর্যয় এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা “সহ্য করা যায় না”। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “গাজার মানুষদের অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।”

মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের ‘পুনর্গঠন চুক্তি’ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্টারমার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই। নিরীহ শিশুদের ওপর বারবার বোমাবর্ষণ—এই দুর্ভোগ একেবারেই অসহনীয়।”

তিনি আরও বলেন, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধে যুক্তরাজ্যের অবস্থান আগের মতোই কঠোর রয়েছে। একইসঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা অনেকগুণ বাড়ানোর দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ঘোষণায় বলা হয়, তারা কেবলমাত্র সীমিত পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। এই প্রসঙ্গে স্টারমার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এই সহায়তার পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে অপর্যাপ্ত—এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা গাজার মানুষদের অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।”

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো যখন আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বারবার গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি এবং চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল অন হ র

এছাড়াও পড়ুন:

টানা ২৩ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জবি

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য টানা ২৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আগামী ২৫ মে (রবিবার) থেকে শুরু হয়ে এই ছুটি চলবে ১২ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। তবে ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সেবা চালু এবং একমাত্র ছাত্রী হলটি খোলা থাকবে।

বুধবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কুবির ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আল্টিমেটাম

চাকসু নীতিমালা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৫ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়া ৪ জুন (বুধবার) থেকে ১২ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইনস্টিটিউট, বিভাগ ও দপ্তরগুলো বন্ধ থাকবে।

তবে ছুটি চলাকালে চালু থাকবে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, নিরাপত্তা এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মতো গুরুত্বপূর্ণ জরুরি সেবা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই দীর্ঘ ছুটি তাদের মানসিক প্রশান্তি এনে দিয়েছে এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে যারা দূর-দূরান্ত থেকে এসে পড়াশোনা করেন, তাদের জন্য এটি স্বস্তির খবর।

জবির শিক্ষার্থী পায়েল সরকার বলেন, “টানা ক্লাস ও পরীক্ষা শেষে এই ছুটি আমাদের জন্য অনেকটা প্রশান্তির নিঃশ্বাসের মতো। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুব জরুরি।”

এদিকে ছুটির সময়েও খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রাধ্যক্ষ ড. আঞ্জুমান আরা।

তিনি বলেন, “হলের সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কয়েকজন ছাত্রী হলে অবস্থান করবে। তাদের জন্য হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ