কাজ পাওয়ার জন্য আপত্তিকর প্রস্তাব পাওয়া নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় অভিনেত্রী। প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নানা ধরনের বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁদের। এবার এ প্রসঙ্গে কথা বললেন সায়ামি খের।

সায়ামি খের। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নারী কমিশন নিয়ে গালাগাল আলোচনাকে খারাপ দিকে নিয়ে গেছে: ফরহাদ মজহার

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নিয়ে চলমান বিতর্কে অশালীন ভাষা ও গালাগাল ব্যবহারের কারণে আলোচনা সঠিক পথে অগ্রসর হতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, কিছু আলেমের কটু ভাষা আলোচনাকে নীতিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক করে তুলেছে, যা উভয় পক্ষেরই ক্ষতি করেছে।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘নারীর ন্যায্যতা ও নারী সংস্কার কমিশন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন ফরহাদ মজহার। গণশক্তি সভা নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।

ফরহাদ মজহার বলেন, নারী সংস্কার কমিশনকে খুব খারাপ ভাষায় গালাগালের বিষয়টা আলোচনাটাকে খারাপ দিকে নিয়ে গেছে এবং এতে উভয় পক্ষেরই ক্ষতি হয়েছে। এটা পশ্চাৎপদ সমাজের লক্ষণ, যেখানে যুক্তির চেয়ে গালাগাল প্রাধান্য পাচ্ছে। এতে একটি যুক্তিনির্ভর ও নৈতিক আলোচনার সুযোগ হারিয়ে যাচ্ছে।

যৌনকর্মকে শ্রম হিসেবে স্বীকৃতির দাবির পেছনে থাকা বাস্তবতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের দিকটি বিবেচনার আহ্বান জানান ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি বলেন, একজন নারী পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত, তাহলে আপনাকে জিজ্ঞেস করতে হবে—সে কেন সেখানে গেল? সে তো খুশি হয়ে যায়নি। কোনো মেয়ে জন্ম থেকে যৌনকর্মী হতে চায় না। একজন নারী যদি অভাবে পড়ে এই পথ বেছে নেন, তাহলে প্রশ্ন আসে—ওই সমাজ, আলেম বা ধর্মীয় নেতারা তাঁর জন্য কী করেছেন, তাঁর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা কি তাঁরা করেছেন।’ তিনি বলেন, সমাজে যৌনতা ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা পাশাপাশি চলে, এবং যেহেতু সামাজিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা দেশে নেই, তাই শুধু আইন করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এ জন্য নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার বিকাশ জরুরি।

নারী কমিশনের গঠন ও এর পেছনের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, কমিশনটি সমাজের প্রতিনিধিত্বমূলক হয়নি। এতে অংশগ্রহণকারী ও সমালোচক উভয়ের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

নারী অধিকার ও ইসলাম নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, ইসলাম নারীর স্বতন্ত্র কর্তা সত্তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বহু আগে। কিন্তু আমাদের আলেমরা যদি ইসলামের প্রকৃত ব্যাখ্যা দিতেন, তাহলে নারীবাদীরা যেসব দাবি তুলছেন, তার অনেক কিছুই আগেই ইসলামেই পাওয়া যেত। সমাজে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক কেবল যৌনতার নয়, বরং প্রজাতি পুনরুৎপাদন ও পারিবারিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে গঠিত। এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই আলোচনা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে ফরহাদ মজহার।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি আইয়ুব ভূঁইয়া। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক শামিমা তাসনিম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ