সপ্তাহ না যেতেই আবারো দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছে, যা বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এখন প্রতি ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ২৩ টাকা বেশিতে বিক্রি হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা।
বুধবার (২১ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
আরো পড়ুন:
মায়ায় জড়িয়ে রাখুন প্রিয় মানুষকে
কথা ছাড়াই স্ত্রীর সঙ্গে ২০ বছর কাটিয়ে দিলেন যে ব্যক্তি
এর আগে, শনিবার (১৭ মে) রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর তথ্য দিয়েছিল সমিতি। বুধবার (২১ মে) প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ওঠার পর ৮, ১০ ও ১২ মে দাম কমার ঘোষণা আসে।
বুধবার রাতে বাজুসের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় ভরিপ্রতি মূল্য বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে কার্যকর হবে।
২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২৪৯ টাকা ধরা হয়েছে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।
বাজুসের তথ্য অনুয়াযী, ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেটের রুপার দর ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির ভরিপ্রতি দর ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
গত ২৩ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠে সর্বোচ্চ, সেদিন ভরিপ্রতি দাম বেড়েছিল ৫ হাজার ৩৪২ টাকা। ওইদিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকায়। তার পরদিন ফের স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা আসে বাজুসের পক্ষ থেকে।
চলতি বছর ৩৪ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৩ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। ২০২৪ সালে দেশের বাজারে ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়। তার মধ্যে দাম বৃদ্ধি করা হয় ৩৫ বার, তবে হ্রাস করা হয় ২৭ বার।
ঢাকা/এনএফ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র দ ম ২২ ক য র ট র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ছায়াযুদ্ধে’ বিএনপি ও এনসিপি
বিএনপি ও এনসিপির পৃথক কর্মসূচি হঠাৎ করেই রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ তৈরি করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমেছেন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র করার দাবি সামনে রেখে। এরপর এনসিপি কর্মসূচি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে। দল দুটির দাবি ভিন্ন ভিন্ন হলেও এটাকে কার্যত পাল্টাপাল্টি বা ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপি ইশরাকের ইস্যুতে জয়ী হয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি ধাক্কা দিতে চায়—যার চূড়ান্ত লক্ষ্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আদায় করা। পাশাপাশি এনসিপির ওপরও একটা রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে চায়। কারণ, বিএনপির নেতারা মনে করেন, এনসিপি একের পর এক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন পেছাতে চায়।
মেয়র পদে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা কাকরাইল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। বুধবার দুপুরে