বরিশালের বাবুগঞ্জে স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্তের ঘটনায় এক তরুণকে আটক করে রাখা হয়েছিল বিদ্যালয়ে। পুলিশ আসার আগেই সহযোগীরা সেখানে হামলা করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছে। এ সময় আহত হন উপজেলার সৈয়দ মোশারফ-রাশিদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মী। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, বায়েজিদ সরদার (১৯) নামের ওই তরুণ বুধবার সকালে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর (দোয়ারিকা সেতু) ঢালে আড্ডা দেওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে। সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা অন্য শিক্ষকদের নিয়ে তাকে ধরে বিদ্যালয়ে কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় তার সহযোগীরা সশস্ত্র অবস্থায় এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বায়েজিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বাবা জাসাসের বাবুগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনির সরদার বলেন, ‘ছেলে আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, সে কাউকে মানে না। সে মাদকাসক্ত ও বখাটে। তাকে মানুষ করতে না পারায় আমি লজ্জিত। স্কুলের ঘটনা জানার পর তাকে পুলিশে দিতে হেডস্যারকে অনুরোধ করেছি।’

বাবুগঞ্জের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকেলে রামপট্টি গ্রামের বায়েজিদ সরদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে জিডি করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর পঞ্চম সিজনের কয়েকটি পর্বে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় এবং নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন গতকাল (৮ জুলাই) এ নোটিশটি পাঠান।

নোটিশে নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, সাইদুর রহমান পাভেল, শিমুল শর্মা এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বুম ফিল্মস–এর নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’-এর প্রথম থেকে অষ্টম পর্ব পর্যন্ত এমন অনেক সংলাপ রয়েছে যা ‘অশ্লীল, ডাবল মিনিং এবং কিশোর-তরুণদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

নোটিশে উদাহরণ হিসেবে নাটকের কিছু সংলাপ তুলে ধরা হয়েছে, যেমন, ‘ডেট’, ‘উনিশ/বিশ’, ‘টাকা হলে সীসা খেতে পারতাম’, ‘বাঙালি পোশাক লুঙ্গি’, ‘ফিমেল’, ‘কিডনি’, ‘দই’-এই শব্দ ও সংলাপগুলোকে ‘নৈতিকতা, শালীনতা ও পারিবারিক রুচির পরিপন্থী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, এগুলোর মাধ্যমে নারীদের অবমাননা করা হয়েছে এবং তরুণ প্রজন্মের মুখে এসব সংলাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।

এছাড়া নোটিশে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের কথা তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন—নাটকটি এখন সব বয়সী দর্শকের জন্য তৈরি হচ্ছে। তবে বাস্তবে নাটকের ভাষা, উপস্থাপন ও বিষয়বস্তু মোটেও পরিবারবান্ধব নয় বলে দাবি করেন নোটিশদাতা।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪’ এবং ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭’-এর আলোকে শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রচার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ এই নাটকের কিছু সংলাপ ও দৃশ্য সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে তরুণদের ভাষা ও আচরণে স্থায়ী ছাপ ফেলছে।

নোটিশে নাটকের বিতর্কিত সংলাপ ও ভিডিও ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ