উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ক্ষতিগ্রস্ত যুদ্ধজাহাজ, দায়ীদের শাস্তির হুঁশিয়ারি কিমের
Published: 22nd, May 2025 GMT
উত্তর কোরিয়ার নতুন একটি যুদ্ধজাহাজ (ডেস্ট্রয়ার) উদ্বোধনের সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে। কিম জং উন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি এই দুর্ঘটনাকে ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি এই তথ্য জানায়।
রাষ্ট্রীয় কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, বুধবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরে চংজিনে একটি পাঁচ হাজার টন ওজনের ডেস্ট্রয়ার জাহাজ উদ্বোধনের সময় ‘গুরুতর একটি দুর্ঘটনা ঘটে’। কেসিএনএ জানায়, কিম জং উনের উপস্থিতিতে জাহাজটি পানিতে নামানোর সময় জাহাজটির নিচের কিছু অংশ ভেঙে যায় এবং জাহাজটির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। অভিজ্ঞতা ও পরিচালনাগত অবহেলার কারণে এমন হয়েছে বলে জানা গেছে।
কিম জং উন এটিকে ‘চূড়ান্ত অবহেলাজনিত অপরাধ’ বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘এমন ঘটনা কোনোভাবেই সহ্য করা যাবে না। দায়ী কর্মকর্তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’
এর এক মাস আগেই উত্তর কোরিয়া আরো একটি পাঁচ হাজার টনের ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির জাহাজ ‘চো হিয়ন’ উদ্বোধন করেছিল।
সেই অনুষ্ঠানে কিম জং উন তার কন্যা কিম জু এ-কে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন—যিনি অনেক বিশ্লেষকের মতে, সম্ভাব্য উত্তরসূরি। উত্তর কোরিয়া দাবি করে, চো হিয়ন সর্বাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এবং আগামী বছরের শুরুতে তার কার্যক্রম শুরু করবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান প্রশ্নে রুল
নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত এমন বিধান প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রুল দেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ওই বিধান–সংবলিত ৯ অনুচ্ছেদ সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের (২৮, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না—রুলে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নতুন ওই বিধান যুক্ত করে ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। আগে কোনো রাজনৈতিক দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেত।
ওই বিধান–সংবলিত অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। আজ রিটের ওপর শুনানি হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাহেদুল আজম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরে। বিএনপি মনে করে, জোটগত নির্বাচন করলেও নিজস্ব প্রতীকে ভোট করে ছোট দলগুলোর নেতাদের জয় সহজ হবে না। এর ফলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সুফল পেয়ে যেতে পারে।
তবে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই সংশোধনের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত জোট করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে, শেষ পর্যন্ত এমন বিধান যুক্ত করেই ৩ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুনজোটেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রেখে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি ০৪ নভেম্বর ২০২৫