বুধবার (২১ মে) রাতে জাতীয় দলের জার্সিতে রিশাদ হোসেন খেলেছেন শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালেই রিশাদ উড়ে গেছেন পাকিস্তানের লাহোরে। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আজ লাহোর কালান্দার্সের ডু অর ডাই ম্যাচ। এলিমিনেটর ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় খেলবে করাচি কিংসের বিপক্ষে। ম্যাচটি জিততে পারলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকবে লাহোর। নয়তো বিদায়।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে জরুরিভিত্তিতে লাহোর নিজেদের দলে আবার যুক্ত করেছে লেগ স্পিনার রিশাদকে। লাহোরের জার্সিতে এর আগে ৫ ম্যাচ খেলেছেন রিশাদ। ১৬.
এরপর জাতীয় দলের খেলা থাকায় পিএসএল আবার শুরু হলে রিশাদ যেতে পারেননি। গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলে আজই উড়ে যান পাকিস্তানে। লাহোর দলে এই মুহূর্তে রয়েছেন তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান আগে থেকেই ছিলেন। মিরাজ গতকাল যোগ দিয়ে অনুশীলন করেছেন। রিশাদ হোসেন যোগ দিলেন আজ। তিনজনকে একই সঙ্গে মাঠে পাওয়া গেলে তা নিশ্চিতভাবে ক্রিকেটপ্রেমিদের জন্য বাড়তি পাওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
নজিরবিহীন পরিণতির শিকার দিল্লি
বেশিদূর গেল না বাংলাদেশের ইনিংস, জবাব দিচ্ছে প্রোটিয়ারাও
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।