বন্দরে গভীর রাতে কনটেইনার খুলে যা পাওয়া গেল
Published: 22nd, May 2025 GMT
বাংলাদেশে মাল্টা আমদানি হয় মিসর, ভুটান, ভারত ও চীন থেকে। তবে মিসরের মাল্টা দুবাই হয়ে চট্টগ্রামে আসার নথি দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে কাস্টমস কর্মকর্তাদের। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কনটেইনার খুলে সেই সন্দেহ সত্যি হয়। মাল্টা নয়, ৪০ ফুট লম্বা কনটেইনারে ছিল সিগারেটের সারি সারি কার্টন।
কনটেইনারের অবস্থান শনাক্ত করে বুধবার দিবাগত রাত দুইটায় কার্টন বের করে গণনা শুরু করেন কর্মকতারা। আজ বৃহস্পতিবার গণনা শেষে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারটিতে ১ হাজার ২৫০ কার্টনে ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট। অবশ্য ৫ হাজার ৪১৮ কেজি মাল্টাও ছিল কনটেইনারে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, সিগারেট আমদানিতে প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কবার্তা লেখা থাকতে হয়। এই শর্ত মেনে আমদানি করলেও ৫৯৬ শতাংশ শুল্ক–কর দিতে হয়। অর্থাৎ সিগারেটের দাম ১০০ টাকা হলে শুল্ক–কর দিতে হবে ৫৯৬ টাকা। সেই হিসাবে জব্দ করা সিগারেটে সরকারের রাজস্ব দিতে হতো ৩০ কোটি টাকা। এই টাকা ফাঁকি দিতেই মিথ্যা ঘোষণার আশ্রয় নেয় আমদানিকারক।
পণ্য আমদানির নথি অনুযায়ী, ঢাকার মালিবাগের আহসান করপোরেশন এই সিগারেট আমদানি করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের টুসিয়া ভেজিটেবল অ্যান্ড ফ্রুটস কোম্পানি থেকে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, গত বছর কোম্পানিটির কোনো ফল আমদানির নজির নেই। এমনকি যে ফল রপ্তানির তালিকায় যে প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে, সেটিও গত বছর বাংলাদেশে কোনো ফল রপ্তানি করেনি।
আহসান করপোরেশনের পক্ষে পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার কাজী রাইহানুজ জামান প্রথম আলোকে বলেন, চালানটিতে ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আমদানিকারক। তবে কাস্টমসের নজরদারিতে তা ধরা পড়েছে। এখন তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক স টমস
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগমের সই করা এক চিঠিতে এ নিদের্শনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এর আগে, গত সোমবার অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর এক দিনের মাথায় পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান ও আরও ১৪ জন সদস্য নিয়ে পুনর্গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন খাগড়াছড়ি পার্বত্য পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর তিনদিন পর ১০ নভেম্বর নব নিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।