লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির পার থেকে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যেই সালমানের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশের সময় নারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া নারীর নাম ইশা ছাবরা (৩৩), যিনি নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর আটক হওয়া যুবকের নাম জিতেন্দ্র কুমার সিং (২৩)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ একটি নোটিশ দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ইশা ছাবরাকে ২৩ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বান্দ্রা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইশা ছাবরা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছান এবং বিল্ডিংয়ের মূল ফটক দিয়ে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে সালমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে চিহ্নিত করে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, ইশা ছাবরা দাবি করেছেন, তিনি দক্ষিণী এক চলচ্চিত্র ও কিছু টেলিভিশন শোতে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি কার্টার রোডে বসবাস করেন এবং তার বাবা-মা উত্তর প্রদেশে থাকেন।

একই দিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে সালমানের বাড়িতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় জিতেন্দ্র কুমার সিং। পুলিশ তাকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নিজের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন এবং পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। সন্ধ্যায় তিনি আবারও গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। এবার তিনি অভিনেতার এক প্রতিবেশীর গাড়ির পেছন দিয়ে লুকিয়ে প্রবেশের চেষ্টা চালান। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ধরা পড়েন।

জিজ্ঞাসাবাদে জিতেন্দ্র জানায়, সালমান খানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল তিনি, কিন্তু পুলিশ তাকে অনুমতি না দেয়ায় সে লুকিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। সূত্র: ফ্রি প্রেস জার্নাল ও এনডিটিভি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব শ র চ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, নির্মাতা-শিল্পীদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর পঞ্চম সিজনের কয়েকটি পর্বে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় এবং নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন গতকাল (৮ জুলাই) এ নোটিশটি পাঠান।

নোটিশে নাটকের নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, সাইদুর রহমান পাভেল, শিমুল শর্মা এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বুম ফিল্মস–এর নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’-এর প্রথম থেকে অষ্টম পর্ব পর্যন্ত এমন অনেক সংলাপ রয়েছে যা ‘অশ্লীল, ডাবল মিনিং এবং কিশোর-তরুণদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

নোটিশে উদাহরণ হিসেবে নাটকের কিছু সংলাপ তুলে ধরা হয়েছে, যেমন, ‘ডেট’, ‘উনিশ/বিশ’, ‘টাকা হলে সীসা খেতে পারতাম’, ‘বাঙালি পোশাক লুঙ্গি’, ‘ফিমেল’, ‘কিডনি’, ‘দই’-এই শব্দ ও সংলাপগুলোকে ‘নৈতিকতা, শালীনতা ও পারিবারিক রুচির পরিপন্থী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, এগুলোর মাধ্যমে নারীদের অবমাননা করা হয়েছে এবং তরুণ প্রজন্মের মুখে এসব সংলাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।

এছাড়া নোটিশে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের কথা তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন—নাটকটি এখন সব বয়সী দর্শকের জন্য তৈরি হচ্ছে। তবে বাস্তবে নাটকের ভাষা, উপস্থাপন ও বিষয়বস্তু মোটেও পরিবারবান্ধব নয় বলে দাবি করেন নোটিশদাতা।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪’ এবং ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭’-এর আলোকে শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রচার দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ এই নাটকের কিছু সংলাপ ও দৃশ্য সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে তরুণদের ভাষা ও আচরণে স্থায়ী ছাপ ফেলছে।

নোটিশে নাটকের বিতর্কিত সংলাপ ও ভিডিও ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ