সালমানের বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা, নারীসহ গ্রেপ্তার ২
Published: 22nd, May 2025 GMT
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির পার থেকে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যেই সালমানের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশের সময় নারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া নারীর নাম ইশা ছাবরা (৩৩), যিনি নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর আটক হওয়া যুবকের নাম জিতেন্দ্র কুমার সিং (২৩)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ একটি নোটিশ দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ইশা ছাবরাকে ২৩ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বান্দ্রা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইশা ছাবরা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছান এবং বিল্ডিংয়ের মূল ফটক দিয়ে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে সালমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে চিহ্নিত করে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ইশা ছাবরা দাবি করেছেন, তিনি দক্ষিণী এক চলচ্চিত্র ও কিছু টেলিভিশন শোতে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি কার্টার রোডে বসবাস করেন এবং তার বাবা-মা উত্তর প্রদেশে থাকেন।
একই দিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে সালমানের বাড়িতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় জিতেন্দ্র কুমার সিং। পুলিশ তাকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নিজের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন এবং পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। সন্ধ্যায় তিনি আবারও গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। এবার তিনি অভিনেতার এক প্রতিবেশীর গাড়ির পেছন দিয়ে লুকিয়ে প্রবেশের চেষ্টা চালান। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ধরা পড়েন।
জিজ্ঞাসাবাদে জিতেন্দ্র জানায়, সালমান খানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল তিনি, কিন্তু পুলিশ তাকে অনুমতি না দেয়ায় সে লুকিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। সূত্র: ফ্রি প্রেস জার্নাল ও এনডিটিভি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব শ র চ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধস
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমার নদের পাশে ৫০০ মিটার বাঁধের ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ব্লকগুলো ধসে যায়। বন্যার আগে বাঁধের এ অবস্থায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ব্লক ধসে গেছে বলে অভিযোগ তাদের।
বাঁধের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম। তাঁর দাবি, প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এ ক্ষতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ইউড্রেন না থাকায় বৃষ্টির পানি সুড়ঙ্গ হয়ে প্রবেশ করে বাঁধের কিছু অংশে ধস দেখা দিয়েছে। নদীর পানি কমলে তা মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ১০ আগস্ট একনেকের বৈঠকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা; যা বিভিন্ন প্যাকেজে বর্তমানে কুড়িগ্রাম পাউবোর তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর একটি হলো দুধকুমার নদের ডান তীর রক্ষা বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে এ কাজে ১০ কোটি ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩৩ টাকা বরাদ্দ হয়। চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ৫০০ মিটার বাঁধটি নির্মাণে কাজ পায় ঢাকার মগবাজারের টিআই-পিভিএল-জেডআই জেভি নামের প্রতিষ্ঠান।
গত বুধবার দুপুরে চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর মৌজার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানিতে বাঁধের কিছু অংশ ধসে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, নদীভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কাজ শেষ না হতেই বাঁধ ধসে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে যদি বাঁধ ধসে যায় ভারী বৃষ্টি হলে কী হবে। তাদের দাবি, যাতে আগামীতে ব্লক বসানোর কাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজরদারিতে রেখে যেন কাজ শেষ করে।
একই এলাকার এনামুল ও রাসেদের অভিযোগ, কাজের মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় যথাযথ ডাম্পিং না করে সিসি ব্লক বসানো হয়েছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাফিয়া আখতার জানান, বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় দায়িত্ব তাদের। বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।