অদ্ভুত এক ক্ষমতার অধিকারী ইরানের আবুলফজল সাবের মোখতারি। যেকোনো বস্তু নিজের শরীরে চামড়ার ওপর আটকে রাখতে পারার দাবি করেন তিনি। এ জন্য তাঁর কোনো আঠার প্রয়োজন পড়ে না।

আবুলফজলের এই দাবি যে একেবারেই ভুয়া নয়, সে প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। তাও একবার নয়, তিন–তিনবার। নিয়মিত কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে তিনি নিজের অদ্ভুত এই প্রতিভায় আরও শান দিয়েছেন, আর নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছেন।

এবার ৯৬টি চামচ একবারে শরীরের সঙ্গে আটকে রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন আবুলফজল সাবের মোখতারি। এ রেকর্ড গড়তে গিয়ে তিনি অবশ্য নিজের রেকর্ডই ভেঙেছেন। প্রথমবার ২০২১ সালে নিজের শরীরে ৮৫টি চামচ আটকে তিনি এই রেকর্ড গড়েছিলেন। তার আগের রেকর্ডটি ছিল ৬৪টি চামচের।

২০২৩ সালে নিজের রেকর্ড ভাঙার প্রথম উদ্যোগ নেন এই ইরানি। সেবার তিনি একবারে ৮৮টি চামচ শরীরে আটকাতে পেরেছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার তিনি নিজের রেকর্ড ভাঙেন। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাঁর নতুন রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে।

আবুলফজলের বয়স ৫৪ বছর। তিনি আগের রেকর্ড গড়ার সময় গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, শৈশবে হঠাৎ করেই তিনি নিজের এই প্রতিভার বিষয়টি আবিষ্কার করেন।

আবুলফজল সাবের মোখতারি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে অনুশীলন ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আমি এই প্রতিভাকে আরও শাণিত করতে পেরেছি। আজ যেটুকু অর্জন করেছি, তা সম্ভব হয়েছে সেই চেষ্টার ফলেই।’

আবুলফজলের বিশ্বাস, তিনি নিজের শরীর থেকে শক্তি কোনো বস্তুর ভেতরে সঞ্চার করতে পারেন এবং শরীরের সঙ্গে বস্তুটি আটকে রাখতে পারেন। এভাবেই তাঁর ব্যতিক্রমী এই প্রতিভা কাজ করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন জ র র কর ড একব র

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ