সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পেলো মৌলভীবাজার রাজনগরের ঐতিহ্যবাহী টেংরাবাজার পশুর হাট। ফিরে এলো বড় অঙ্কের রাজস্ব। হাটটি খাস কালেকশনের দুরভিসন্ধি থেকে মুক্ত হলো। 

৮ম বারের টেন্ডারে হাটের ইজারা মূল্য দাঁড়ায় ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইজারা নিয়েছেন মনসুর তরফদার নামে জনৈক ব্যক্তি। 

এর আগে অর্ধেক মূল্যে সিন্ডিকেটের কবলে ইজারা বন্দোবস্ত হওয়ায় সম্ভাবনা ছিল। এতে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাতো এই টেংরাবাজার পশুর হাট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন মহলের নিকট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফের টেন্ডার আহবান করে ওই পশুর হাটটি ইজারায় বন্দোবস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।

জানা যায়, সপ্তম বারের মত টেন্ডার আহবান করার পরও মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজারের পশুরহাট সরকারি মূল্যের অর্ধেক থেকে কম মূল্যে ইজারা বন্দোবস্ত নিতে চেষ্টা করে একটি চক্র। এতে ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে এ পশুর হাটটি ইজারা দিতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে পহেলা বৈশাখ থেকে টেংরাবাজারের পশুরহাটের খাসকালেকশন পরিচালনায় একটি কমিটি গঠন করে দেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার। উপজেলা প্রশাসন এ কমিটিতে স্থানীয় ভূমিসহকারী অফিসারসহ ৩ জনকে খাসকালেকশনে জন্য নিয়োগ দেয়। তারা বর্তমান সরকারি ও পূর্ববর্তী ইজারা মূল্য থেকে অর্ধেক টাকা আদায় করতে না পারায় বড় অঙ্কের রাজস্ব হারানোর শঙ্কা দেখা দেয়। ফলে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে খাস কালেকশনে সিন্ডিকেটের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে লিখিত দরখাস্ত দেন। 

ফের টেন্ডার আহবান করে উপজেলা প্রশাসন। ৪টি সিডিউল ক্রয় করে তিনটি জমা দেন তিন আগ্রহী ব্যক্তি। ২০ মে টেন্ডারবাক্স খোলা হয়। এতে ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ইজারা মূল্য দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হোন মনসুর তরফদার। তার সাথে  ২৫% আয়কর ও ভ্যাট এ আরও ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫শ টাকা যোগ হবে। এতে সব মিলিয়ে ইজারা মূল্যের পরিমাণ এক কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫শ টাকা। এতে সপ্তাহে ইজারা মূল্য হবে প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার। 

অন্যদিকে খাস কালেকশন থেকে প্রতি সপ্তাহে আদায় দেখানো হয়েছে ৮৭ হাজার থেকে এক ২০ হাজার টাকা। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, বছরের শুরুতে যে কয়দিন খাস কালেকশন করা হয়েছে তা বাদ দিয়ে ইজারার টাকা নেওয়া হবে।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ‘‘একজন ইজারাদার যেভাবে কালেকশন করতে পারেন সে ভাবে অনভিজ্ঞতার কারণে খাসকালেকশন আদায় করা সম্ভব হয়না। ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে ফের টেন্ডার আহবান করার পর সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা মূল্য জমা দিয়ে টেংরাবাজারের পশুরহাট বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’ 

ঢাকা/আজিজ/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ স ক ল কশন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পেলো পশুর হাট, বাড়ল রাজস্ব আয়

সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পেলো মৌলভীবাজার রাজনগরের ঐতিহ্যবাহী টেংরাবাজার পশুর হাট। ফিরে এলো বড় অঙ্কের রাজস্ব। হাটটি খাস কালেকশনের দুরভিসন্ধি থেকে মুক্ত হলো। 

৮ম বারের টেন্ডারে হাটের ইজারা মূল্য দাঁড়ায় ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইজারা নিয়েছেন মনসুর তরফদার নামে জনৈক ব্যক্তি। 

এর আগে অর্ধেক মূল্যে সিন্ডিকেটের কবলে ইজারা বন্দোবস্ত হওয়ায় সম্ভাবনা ছিল। এতে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাতো এই টেংরাবাজার পশুর হাট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন মহলের নিকট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফের টেন্ডার আহবান করে ওই পশুর হাটটি ইজারায় বন্দোবস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।

জানা যায়, সপ্তম বারের মত টেন্ডার আহবান করার পরও মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজারের পশুরহাট সরকারি মূল্যের অর্ধেক থেকে কম মূল্যে ইজারা বন্দোবস্ত নিতে চেষ্টা করে একটি চক্র। এতে ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে এ পশুর হাটটি ইজারা দিতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে পহেলা বৈশাখ থেকে টেংরাবাজারের পশুরহাটের খাসকালেকশন পরিচালনায় একটি কমিটি গঠন করে দেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার। উপজেলা প্রশাসন এ কমিটিতে স্থানীয় ভূমিসহকারী অফিসারসহ ৩ জনকে খাসকালেকশনে জন্য নিয়োগ দেয়। তারা বর্তমান সরকারি ও পূর্ববর্তী ইজারা মূল্য থেকে অর্ধেক টাকা আদায় করতে না পারায় বড় অঙ্কের রাজস্ব হারানোর শঙ্কা দেখা দেয়। ফলে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে খাস কালেকশনে সিন্ডিকেটের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে লিখিত দরখাস্ত দেন। 

ফের টেন্ডার আহবান করে উপজেলা প্রশাসন। ৪টি সিডিউল ক্রয় করে তিনটি জমা দেন তিন আগ্রহী ব্যক্তি। ২০ মে টেন্ডারবাক্স খোলা হয়। এতে ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ইজারা মূল্য দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হোন মনসুর তরফদার। তার সাথে  ২৫% আয়কর ও ভ্যাট এ আরও ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫শ টাকা যোগ হবে। এতে সব মিলিয়ে ইজারা মূল্যের পরিমাণ এক কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫শ টাকা। এতে সপ্তাহে ইজারা মূল্য হবে প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার। 

অন্যদিকে খাস কালেকশন থেকে প্রতি সপ্তাহে আদায় দেখানো হয়েছে ৮৭ হাজার থেকে এক ২০ হাজার টাকা। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, বছরের শুরুতে যে কয়দিন খাস কালেকশন করা হয়েছে তা বাদ দিয়ে ইজারার টাকা নেওয়া হবে।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ‘‘একজন ইজারাদার যেভাবে কালেকশন করতে পারেন সে ভাবে অনভিজ্ঞতার কারণে খাসকালেকশন আদায় করা সম্ভব হয়না। ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে ফের টেন্ডার আহবান করার পর সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা মূল্য জমা দিয়ে টেংরাবাজারের পশুরহাট বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’ 

ঢাকা/আজিজ/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ