সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পেলো পশুর হাট, বাড়ল রাজস্ব আয়
Published: 23rd, May 2025 GMT
সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পেলো মৌলভীবাজার রাজনগরের ঐতিহ্যবাহী টেংরাবাজার পশুর হাট। ফিরে এলো বড় অঙ্কের রাজস্ব। হাটটি খাস কালেকশনের দুরভিসন্ধি থেকে মুক্ত হলো।
৮ম বারের টেন্ডারে হাটের ইজারা মূল্য দাঁড়ায় ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইজারা নিয়েছেন মনসুর তরফদার নামে জনৈক ব্যক্তি।
এর আগে অর্ধেক মূল্যে সিন্ডিকেটের কবলে ইজারা বন্দোবস্ত হওয়ায় সম্ভাবনা ছিল। এতে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাতো এই টেংরাবাজার পশুর হাট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন মহলের নিকট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফের টেন্ডার আহবান করে ওই পশুর হাটটি ইজারায় বন্দোবস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।
জানা যায়, সপ্তম বারের মত টেন্ডার আহবান করার পরও মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজারের পশুরহাট সরকারি মূল্যের অর্ধেক থেকে কম মূল্যে ইজারা বন্দোবস্ত নিতে চেষ্টা করে একটি চক্র। এতে ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে এ পশুর হাটটি ইজারা দিতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে পহেলা বৈশাখ থেকে টেংরাবাজারের পশুরহাটের খাসকালেকশন পরিচালনায় একটি কমিটি গঠন করে দেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার। উপজেলা প্রশাসন এ কমিটিতে স্থানীয় ভূমিসহকারী অফিসারসহ ৩ জনকে খাসকালেকশনে জন্য নিয়োগ দেয়। তারা বর্তমান সরকারি ও পূর্ববর্তী ইজারা মূল্য থেকে অর্ধেক টাকা আদায় করতে না পারায় বড় অঙ্কের রাজস্ব হারানোর শঙ্কা দেখা দেয়। ফলে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে খাস কালেকশনে সিন্ডিকেটের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে লিখিত দরখাস্ত দেন।
ফের টেন্ডার আহবান করে উপজেলা প্রশাসন। ৪টি সিডিউল ক্রয় করে তিনটি জমা দেন তিন আগ্রহী ব্যক্তি। ২০ মে টেন্ডারবাক্স খোলা হয়। এতে ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ইজারা মূল্য দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হোন মনসুর তরফদার। তার সাথে ২৫% আয়কর ও ভ্যাট এ আরও ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫শ টাকা যোগ হবে। এতে সব মিলিয়ে ইজারা মূল্যের পরিমাণ এক কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫শ টাকা। এতে সপ্তাহে ইজারা মূল্য হবে প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার।
অন্যদিকে খাস কালেকশন থেকে প্রতি সপ্তাহে আদায় দেখানো হয়েছে ৮৭ হাজার থেকে এক ২০ হাজার টাকা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, বছরের শুরুতে যে কয়দিন খাস কালেকশন করা হয়েছে তা বাদ দিয়ে ইজারার টাকা নেওয়া হবে।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ‘‘একজন ইজারাদার যেভাবে কালেকশন করতে পারেন সে ভাবে অনভিজ্ঞতার কারণে খাসকালেকশন আদায় করা সম্ভব হয়না। ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে ফের টেন্ডার আহবান করার পর সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা মূল্য জমা দিয়ে টেংরাবাজারের পশুরহাট বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’
ঢাকা/আজিজ/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ স ক ল কশন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।
আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।
তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।
গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।