মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, ইভটিজিংকারী ও বিভিন্ন অপরাধীদের হুংকার দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ  শাহিনুর আলম বলেন, আমার হাতে এসব অপরাধী গ্রেপ্তার হলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেয়া হবে।

এলাকা থেকে অপরাধ নির্মূল করতে হলে পুলিশের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই সচেতন না হলে পুলিশের পক্ষে একা এসব অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব না। 

একজন মাদকসেবী একটা পরিবার ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান শাহিনুর আলম। তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ থেকে সকলে বিরত থাকবেন। ছেলেমেয়েদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

প্রতিনিয়ত আপনাদের সেবা দিতে পুলিশ সদস্যরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা দিন পাড়া মহল্লায় টহল দিচ্ছে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কিশোর গ্যাংদের একটি তালিকা করা হচ্ছে। সেই তালিকা ধরে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। 

শুক্রবার (২৩ মে) পূর্ব পাইনাদি সিআইখোলা নতুন মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর আলম। 

ওসি শাহিনুর আলম বলেন, অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে আপনারা আমাকে ফোন করে তথ্য দিন। আপনাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। অপরাধ নির্মূল করতে আপনারা একটি কমিটি করেন। সেই কমিটি আমি উপস্থিত থেকে করে দেব। 

কিশোরগ্যাংকে উদ্দেশ্য করে ওসি শাহিনুর আলম আরও বলেন,  এখনো সময় আছে তোমরা ভালো হয়ে যাও। আড্ডাবাজি ছেড়ে দাও, পড়াশোনা মনোযোগ দাও, আমরা একটি কিশোরগ্যাংয়ের লিস্ট করতেছি, আমার হাতে কিশোরগ্যাং সদস্য যদি ধরা পড়ে তাহলে তার হাত পা গুড়া করে দেয়া হবে।

আপনার সন্তান কার সাথে চলাফেরা করছে সে বিষয়ে নজরদারি রাখার জন্য পরিবারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অপরাধ নির্মূল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ওসি তদন্ত, দ্য ডেইলি মুসলিম টাইমসের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল্লাহ মো.

খালিদ রাসেল, যায়যায়দিন পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি শাহনেয়াজ বাবুল, মসজিদের উপদেষ্টা আতাহার হাজী, মুসল্লীসহ গণ্যমান্য  ব্যক্তিবর্গরা।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ সন ত র স ন র য়ণগঞ জ অপর ধ শ হ ন র আলম স দ ধ রগঞ জ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ