বাগেরহাটের আকাশে ‘ইরিডিসেন্ট ক্লাউড’
Published: 23rd, May 2025 GMT
বাগেরহাটের আকাশে দেখা মিলেছে ‘ইরিডিসেন্ট ক্লাউড’ বা রঙধনু মেঘের।
শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের পশ্চিম আকাশে এই মেঘের দেখা মেলে। হালকা গোলাপি, সবুজ, কমলা, বেগুনি ও সোনালী আভা ছড়ানো এই মেঘ প্রায় ১৫ মিনিট ধরে আকাশে ঝলমল করতে দেখা যায়।
ইরিডিসেন্ট ক্লাউড হলো এক ধরনের অপটিক্যাল মেঘীয় ঘটনা, যা সাধারণত উচ্চ স্তরের স্ট্রাটোক্যুমুলাস বা সিরাস মেঘে দেখা যায়। সূর্যের আলো যখন মেঘের ভেতরকার ক্ষুদ্র ও অভিন্ন জলকণার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত ও প্রতিসরিত হয়, তখন এই রঙধনুর মতো মেঘ তৈরি হয়। এটি ‘ক্লাউড ইরিডিসেন্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত হিমালয় অঞ্চলে এটা বেশি দেখা যায়।
বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুর এলাকার বাসিন্দা শেখ উদয় বলেন, “প্রথমে মনে হচ্ছিল, কেউ হয়তো কৃত্রিম আলো ফেলেছে। কিন্তু পরে বুঝি এটা প্রকৃতিরই সৃষ্টি। জীবনে প্রথম এমন রঙিন মেঘ দেখলাম।”
আবহাওয়াবিদদের মতে, ইরিডিসেন্ট ক্লাউড সাধারণত হিমালয় অঞ্চল বা উপসাগরীয় এলাকায় দেখা যায়। বাংলাদেশে এটি বিরল এবং স্বল্প সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পরিবর্তনকালে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী আবহাওয়াবিদ মো.
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটের আকাশে ‘ইরিডিসেন্ট ক্লাউড’
বাগেরহাটের আকাশে দেখা মিলেছে ‘ইরিডিসেন্ট ক্লাউড’ বা রঙধনু মেঘের।
শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের পশ্চিম আকাশে এই মেঘের দেখা মেলে। হালকা গোলাপি, সবুজ, কমলা, বেগুনি ও সোনালী আভা ছড়ানো এই মেঘ প্রায় ১৫ মিনিট ধরে আকাশে ঝলমল করতে দেখা যায়।
ইরিডিসেন্ট ক্লাউড হলো এক ধরনের অপটিক্যাল মেঘীয় ঘটনা, যা সাধারণত উচ্চ স্তরের স্ট্রাটোক্যুমুলাস বা সিরাস মেঘে দেখা যায়। সূর্যের আলো যখন মেঘের ভেতরকার ক্ষুদ্র ও অভিন্ন জলকণার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত ও প্রতিসরিত হয়, তখন এই রঙধনুর মতো মেঘ তৈরি হয়। এটি ‘ক্লাউড ইরিডিসেন্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত হিমালয় অঞ্চলে এটা বেশি দেখা যায়।
বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুর এলাকার বাসিন্দা শেখ উদয় বলেন, “প্রথমে মনে হচ্ছিল, কেউ হয়তো কৃত্রিম আলো ফেলেছে। কিন্তু পরে বুঝি এটা প্রকৃতিরই সৃষ্টি। জীবনে প্রথম এমন রঙিন মেঘ দেখলাম।”
আবহাওয়াবিদদের মতে, ইরিডিসেন্ট ক্লাউড সাধারণত হিমালয় অঞ্চল বা উপসাগরীয় এলাকায় দেখা যায়। বাংলাদেশে এটি বিরল এবং স্বল্প সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পরিবর্তনকালে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, “এটা মূলত এক ধরণের মেঘ। এটাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় কোটরা (COTRA ) বলে। বাংলাদেশের আকাশে সচরাচর দেখা যায় না। বৈশাখের শেষ থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত মাঝেমধ্যে এই মেঘ দেখা যায়। সাধারণত বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরে সূর্য ডোবার আগ মুহূর্তে এই ধরণের দৃশ্য দেখা যায়। এতে ভয়ের কিছু নেই।”
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ