ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠন ও দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়া, সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার, এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি অনশনকারী ৩ জনের মধ্যে ২ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনশনকারীদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করে অনশনকারী ২ জনকে হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা আলোচনা করে অনশনকারীদের এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে আমরা ডাকসু নিয়ে কাজ করছি।আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা কার্যক্রম চালু রেখেছি। কিন্তু ১৩ তারিখ রাতে সাম্য হত্যার ঘটনায় আর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। শনিবার আমাদের মিটিং রয়েছে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি যে মিটিংয়ে ডাকসু ও অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”

আরো পড়ুন:

ঈদের আগে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল চান শিক্ষার্থীরা

বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

তিনি আরো বলেন, “তারা এখনো অনশন ভাঙেনি। একজন গ্ৰায় ৫১ ঘণ্টা ধরে, অন্যজন প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন করার কারণে শারীরিকভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পরে। তাই চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/সৌরভ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অনশনক র

এছাড়াও পড়ুন:

আধিপত্যমুক্ত দেশ গড়তে আবরার আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে: নাহিদ ইসলাম 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা। এই কুষ্টিয়ার মাটি থেকে আমরা আগামীতে আধিপত্যবাদ মুক্ত দেশ গড়ার শপথ নিতে চাই।

মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার শাপলা চত্বরে এনসিপি আয়োজিত ৮ম দিনের পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। 

দলটির কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুমসহ আরও অনেকে।

দলটির আহ্বায়ক আরও বলেন, আগামীতে নতুন রাষ্ট্র গঠনে কুষ্টিয়াবাসীর সহযোগিতা চাই। আগামীতে কোনো রাজনৈতিক দল যাতে আধিপত্যবাদ কায়েম করতে না পারে সে জন্য আমাদের লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

এর আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে  এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
 
নাহিদ বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ দেশের পক্ষে ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল। পানির ন্যায্য হিসাবের পক্ষে বলেছিল। এতে ভারতের স্বার্থে আঘাত হানে। এ কারণে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। সব হত্যার বিচার হবে এদেশের মাটিতে। এ সময় আবরারের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ