ডাকসুর দাবিতে অনশনরত দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে
Published: 23rd, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠন ও দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়া, সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার, এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি অনশনকারী ৩ জনের মধ্যে ২ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনশনকারীদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করে অনশনকারী ২ জনকে হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা আলোচনা করে অনশনকারীদের এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে আমরা ডাকসু নিয়ে কাজ করছি।আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা কার্যক্রম চালু রেখেছি। কিন্তু ১৩ তারিখ রাতে সাম্য হত্যার ঘটনায় আর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। শনিবার আমাদের মিটিং রয়েছে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি যে মিটিংয়ে ডাকসু ও অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
আরো পড়ুন:
ঈদের আগে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল চান শিক্ষার্থীরা
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
তিনি আরো বলেন, “তারা এখনো অনশন ভাঙেনি। একজন গ্ৰায় ৫১ ঘণ্টা ধরে, অন্যজন প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন করার কারণে শারীরিকভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পরে। তাই চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/সৌরভ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনসহ তিন দাবিতে অনশনে শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনসহ তিন দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অনশনে বসেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে বিভাগের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
তিন দফা দাবি হলো ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তন বা সংস্কার করতে হবে, যাতে বিষয়ের স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে; পিএসসি ও ইউজিসিতে ফোকলোর বিষয়ের নাম সংযুক্ত করে কোড প্রদান নিশ্চিত করতে বিভাগীয় উদ্যোগ নিতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল এক মাসের মধ্যে ও নির্ধারিত সময়ে ক্লাস রুটিন প্রকাশ করতে হবে।
অনশনে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘এই মুহূর্তে দরকার, ফোকলোর বিভাগের সংস্কার’, ‘আমাদের দাবি, আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফোকলোর বিভাগের যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে তাঁরা তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন। শিক্ষকেরা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন করার বদলে বিভিন্ন ছলচাতুরী করছেন। এ জন্য তাঁরা আজ অনশনে বসেছেন। দাবি মানা না পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
বিভাগের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার শুভ বলেন, ফোকলোর একটি বহুমাত্রিক বিষয়ভিত্তিক বিভাগ। যেখানে তাঁরা শুধু লোককাহিনি বা গান-নৃত্য নয়; বরং সমাজ, উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও সংস্কৃতির সমন্বিত পাঠ নিয়ে থাকেন। তাঁদের পাঠ্যক্রম আধুনিক, প্রাসঙ্গিক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চাহিদা পূরণে সক্ষম। তবে অনেকেই বিভাগের পরিধি ও গুরুত্ব বুঝতে পারে না। অনেকেই মনে করেন এটি শুধু পুরোনো গান, নাচ বা লোকগল্পের পড়াশোনা, যা বাস্তবজীবনে কাজে লাগবে না। চাকরির ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীরা হীনম্মন্যতায় ভোগেন। শুধু এই নামের কারণে তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিলয় দে সরকার বলেন, বিভাগের শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কবে তাঁরা আন্দোলনের ফলাফল পাবেন, তা নিশ্চিত নন। তাঁরা কালক্ষেপণ নয়, দ্রুত দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত চান। সেই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে।
এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিগুলো উত্থাপন করেছিলেন। তাঁরা সেগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ মে একটি উপকমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রস্তাব পেশ করবে। ইতিমধ্যে কমিটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছে। তাঁদের দাবিগুলোর সঙ্গে শিক্ষকেরাও একমত। তবুও তাঁরা কেন আন্দোলন করছেন, তা বুঝতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা চাচ্ছেন, দাবিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিতে হবে, কিন্তু সেটি তো সম্ভব নয়।