সুখের কোনো পরিমাপ হয় না। তবে বাস্তবে নিজেকে সুখী বলে মানতে পারা মানুষের সংখ্যা বেশ কম। কেউ ভোগেন হতাশায়, কেউ দুশ্চিন্তায়। কেউ সম্পর্কে অসুখী, কারও কাছে যন্ত্রণা হয়ে ওঠে কর্মক্ষেত্র। নির্দিষ্ট কোনো অসুবিধার কারণে জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি সমস্যায় থাকতেই পারেন। তবে জীবন তো একটা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সুখ আদতে এমন দু–একটি বিষয়ের জন্য হারিয়ে যায় না; বরং হারিয়ে যায় জীবনবোধের কারণেই। ত্রিশের পর সুখী হতে না পারার কিছু কারণ জেনে নেওয়া যাক।

১.

সুখের পেছনে ছোটা

বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই সত্য যে সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতেই আমরা সুখের পথ থেকে সরে যাই। সুখের কিছু পার্থিব মাপকাঠি দাঁড় করিয়ে ফেলাটাই একটা বড় ভুল। পদমর্যাদা, সামাজিক অবস্থান বা অঢেল অর্থের পেছনে ছুটতে ছুটতেই সুখ হারিয়ে যায়; বরং যা আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে সুখ খুইয়ে বসবেন না। ত্রিশ পেরিয়ে এসে সত্যিকার অর্থে কোনো কিছুর অভাব থাকলে কেবল তখনই জীবনে বড় কোনো পরিবর্তনের কথা ভাবুন।

অকারণ চিন্তা সুখের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাসের বেতন বকেয়া, শ্রীপুরে এমকে ফুটওয়্যার শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে এমকে ফুটওয়্যার লিমিটেড কারখানার প্রায় পাঁচশ’ শ্রমিক। 

শনিবার (২৪ মে) সকাল ৮টা থেকে তারা মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকার কারখানার সামনে মাওনা-গাজীপুর আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে এই বিক্ষোভ করছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের এপ্রিল মাসসহ মোট দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। একাধিকবার আশ্বাস দেওয়ার পরও বেতন পরিশোধ করা হয়নি। শনিবার সকালে তারা কারখানায় এসে দেখেন, ভেতরের গেটে তালা ঝুলিয়ে মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কারখানার এক শ্রমিক নাজমুল হাসান বলেন, ‘‘চলতি মাসসহ দুই মাসের বেতন এখনো পাইনি। তাই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নেমেছি।’’  

আরেক শ্রমিক মামুন বলেন, ‘‘ভেতরে প্রবেশ করে দেখি কারখানায় তালা ঝুলানো। সামনে ঈদ, আমরা চলব কীভাবে?’’  

এ বিষয়ে কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা আগামী দুই দিনের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। কারখানাও খুলে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উৎপাদন সাময়িক বন্ধ রয়েছে।’’  

বিক্ষোভের খবর পেয়ে শিল্প পুলিশের একটি দল কারখানায় পৌঁছায়। শ্রীপুর সাব জোন ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ জানান, শ্রমিকদের দাবি সম্পর্কে অবগত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বিল বকেয়া থাকায় কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে তিনি জানান। তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ