সুখের কোনো পরিমাপ হয় না। তবে বাস্তবে নিজেকে সুখী বলে মানতে পারা মানুষের সংখ্যা বেশ কম। কেউ ভোগেন হতাশায়, কেউ দুশ্চিন্তায়। কেউ সম্পর্কে অসুখী, কারও কাছে যন্ত্রণা হয়ে ওঠে কর্মক্ষেত্র। নির্দিষ্ট কোনো অসুবিধার কারণে জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি সমস্যায় থাকতেই পারেন। তবে জীবন তো একটা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সুখ আদতে এমন দু–একটি বিষয়ের জন্য হারিয়ে যায় না; বরং হারিয়ে যায় জীবনবোধের কারণেই। ত্রিশের পর সুখী হতে না পারার কিছু কারণ জেনে নেওয়া যাক।

১.

সুখের পেছনে ছোটা

বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই সত্য যে সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতেই আমরা সুখের পথ থেকে সরে যাই। সুখের কিছু পার্থিব মাপকাঠি দাঁড় করিয়ে ফেলাটাই একটা বড় ভুল। পদমর্যাদা, সামাজিক অবস্থান বা অঢেল অর্থের পেছনে ছুটতে ছুটতেই সুখ হারিয়ে যায়; বরং যা আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে সুখ খুইয়ে বসবেন না। ত্রিশ পেরিয়ে এসে সত্যিকার অর্থে কোনো কিছুর অভাব থাকলে কেবল তখনই জীবনে বড় কোনো পরিবর্তনের কথা ভাবুন।

অকারণ চিন্তা সুখের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না আনিসুল-রুহুল-মুজিবুল

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক (চুন্নু) বলেছেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে দলের নেতাদের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তাঁরা জিএম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা দলের কাউন্সিলে অংশ নেবেন।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাপার সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি পাওয়া এই তিন জ্যেষ্ঠ নেতা।

সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হককে গতকাল সোমবার দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। গতকাল বিকেলে জাপার কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। অন্যদিকে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের মহাসচিব করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে মোট ১১ জন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ নিয়ে জাপায় অস্থিরতা চলছে। এসব বিষয় নিয়ে আগামীকাল বুধবার জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জিএম কাদের যে সভা ডেকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন, এই সভা তিনি ডাকতে পারেন না। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভা ডাকতে পারেন দলের মহাসচিব। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা তাঁরা মানেন না। তাঁরা তাঁদের পদে বহাল আছেন। কেউ বলতে পারবেন না, তাঁরা দলের কোনো বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা সব সময় সংঘবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।

জাপার গঠনতন্ত্রের যে ধারাবলে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা বাতিলের দাবি জানান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে এমন স্বৈরাচারী ধারা থাকতে পারে না। এর মাধ্যমে চেয়ারম্যান একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, দলে যে কাউকে যুক্ত করা ও বহিষ্কার করার ক্ষেত্রে। এটি বাতিল করতে হবে।

জাপার তৎকালীন চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ অসুস্থ থাকা অবস্থায় তাঁর কাছ থেকে জোর করে দলের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব জিএম কাদের নেন বলে অভিযোগ করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘জিএম কাদেরের প্রত্যেকটি বিষয়ের স্বৈরাচারী মনোভাব।’

মুজিবুল হক বলেন, দলীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলের ২৮ জনকে পদোন্নতি দিয়েছেন। অথচ তিনি মহাসচিব হিসেবে তা জানেন না। জিএম কাদেরের চেয়ে কোনো অংশে তাঁর যোগ্যতা কম নয়। তিনি যখন সংসদ সদস্য, তখন জিএম কাদের একটি বেসরকারি কোম্পানির ম্যানেজার। একমাত্র এইচ এম এরশাদের ভাই বলে তাঁকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁরা মেনে আসছেন।

মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টি ছাড়ব না। আমরা জাতীয় পার্টি ভাঙতে দেব না। আমাদের অবদান দলের জন্য সবচেয়ে বেশি। আমরা কাউন্সিলে যাব, সেখানে আমাদের কথা গ্রহণ না করলে এরপর আর কথা থাকবে না।’

আরও পড়ুনজাপায় এবার ‘ছাঁটাই রাজনীতি’, মহাসচিব বদলসহ ৭ দিনে ১১ নেতাকে অব্যাহতি১৬ ঘণ্টা আগে

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, তিনি ১৭ বছর জাপার মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে তাঁদের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জিএম কাদের দলের ক্ষতি করছেন। তিনি যা করছেন, তা কোনো সুস্থ রাজনীতিবিদ করতে পারেন না।

এই তিন নেতা ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোস্তফা আল মাহমুদ, নাজমা আকতার, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জহিরুল ইসলাম জহির, সোলায়মান আলম শেঠ প্রমুখ।

আরও পড়ুনএবার আনিসুল ইসলাম, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হককে অব্যাহতি দিলেন জি এম কাদের২১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ