আগের দুই দিনের তুলনায় গতকাল শুক্রবার দেশজুড়ে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। আজ শনিবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। আজ দেশের তিন বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বাকি বিভাগগুলোর দু–এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃষ্টির মধ্যেও গরম কিন্তু কমছে না। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, সাগর থেকে আসা দক্ষিণের বায়ুর জন্যই এ অবস্থা। তবে আগামীকাল রোববার তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল সন্ধ্যায় যে আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সে অনুযায়ী, আজ ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু–এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ের বৃষ্টির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী থাকতে পারে বজ্রপাত।

চলতি মে মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এতটা তাপপ্রবাহ আগের এপ্রিল মাসে কিন্তু ছিল না। বরং এপ্রিলে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় তাপ অনেকটাই কম ছিল। মে মাসে এ বছরের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে গত সপ্তাহের বড় অংশজুড়েই বৃষ্টি হয়েছে। এতে তাপপ্রবাহ অনেকটা কমে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন দেশের ৫১ স্টেশন থেকে আবহাওয়ার তথ্য তুলে ধরে। গতকাল এগুলোর মধ্যে ২৫টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশির ভাগ স্টেশনেই বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি ছিল না। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় উত্তরের জেলা দিনাজপুরে, ৫২ মিলিমিটার। আগের দিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টি ১০০ মিলিমিটারের বেশি ছিল। গতকাল রাজধানীতে মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আগের দিন বৃহস্পতিবার ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।

মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে উত্তরের হাওয়া প্রবল থাকে। মে মাসে দক্ষিণের হাওয়া প্রাধান্যশীল হয়ে ওঠে। দক্ষিণের হাওয়া মানে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া। আর জলীয় বাষ্প থাকলে গরমটা একটু বেশি থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।‌ওমর ফারুক, আবহাওয়াবিদ

আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল সন্ধ্যায় যে আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সে অনুযায়ী, আজ ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু–এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ের বৃষ্টির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী থাকতে পারে বজ্রপাত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আজ দেশে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। গত সপ্তাহজুড়ে দেশব্যাপী যেমন বৃষ্টি হয়েছে তেমন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আগামী দু–এক দিনে নেই।

এখন বৃষ্টি হলেও গরম কিন্তু কমছে না। দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি হওয়ার পর সাময়িক কিছুটা প্রশান্তি হচ্ছে; কিন্তু এরপরই ভ্যাপসা গরম। এর কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বললেন, মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে উত্তরের হাওয়া প্রবল থাকে। মে মাসে দক্ষিণের হাওয়া প্রাধান্যশীল হয়ে ওঠে। দক্ষিণের হাওয়া মানে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া। আর জলীয় বাষ্প থাকলে গরমটা একটু বেশি থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।‌

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন য য গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ