সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 24th, May 2025 GMT
দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নানান গুঞ্জনের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিএনপি এবং সাড়ে ৮টায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রেস উইং জানায়, বিএনপি ও জামায়াত দুই দলের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব দেবেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।
এদিকে, রাজনৈতিক দল দুটির সঙ্গে বৈঠকের আগে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য উপদেষ্টা পরিষদ এক দফা নিজেরা বৈঠক করবে।
আজ পূর্ব নির্ধারিত একনেকের নিয়মিত বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে ভারতে চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিন দিন পর ৮ অগাস্ট নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এর সাড়ে নয় মাস পর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও অভ্যুত্থানের নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভিন্ন অবস্থান, ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানো নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই কিছু উপদেষ্টাদের পাল্টাপাল্টি পদত্যাগ দাবি করে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মধ্যে সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন বলে খবরে এসেছে।
এমন এক পটভূমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস গত বৃহস্পতিবার অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে নানা পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তার সরকার কাজ করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যেই শুক্রবার এক ফেইসবুক পোস্টে তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব আশা প্রকাশ করেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আদালতের রায় পেয়েছেন। এরপরও তাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সেকারণে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবি মানার ক্ষেত্রে আইনী জটিলতার কথা বলা হচ্ছে।
বিএনপি অবশ্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম, এই দুই ছাত্র প্রতিনিধির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের পদত্যাগের দাবি তুলেছে।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার দাবির সঙ্গে অন্যান্য দাবি যুক্ত করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলছে বিএনপি।
দলটির নেতারা বলছেন, এনসিপি বিভিন্ন সময় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে চাপের মুখে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। সেখানে বিএনপির যৌক্তিক দাবি মানা হচ্ছে না। এনসিপির নেতারা অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করছেন। দ্রুত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক পদত য গ ব এনপ ইউন স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগমের সই করা এক চিঠিতে এ নিদের্শনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এর আগে, গত সোমবার অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর এক দিনের মাথায় পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান ও আরও ১৪ জন সদস্য নিয়ে পুনর্গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন খাগড়াছড়ি পার্বত্য পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর তিনদিন পর ১০ নভেম্বর নব নিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।