প্রকৌশলী আবুল হায়াত যেভাবে জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন
Published: 24th, May 2025 GMT
‘এই লও তোমার বিপাশা,’ ছয় দিন বয়সী নবজাতককে কোলে দিতে দিতে বললেন ফুফুশাশুড়ি। দিনটা ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ। যেকোনো বাবার জন্যই প্রথম সন্তান কোলে নেওয়ার মুহূর্তটা আবেগের, আবুল হায়াতের জন্য মুহূর্তটা আরেকটু বিশেষ। কারণ, একাত্তরের সেই উত্তাল দিনে তিনি হাসপাতালে, কোমা থেকে সবে ফিরেছেন! জীবনে আবার এমন প্রবল অসুস্থতায় পড়েছেন পাঁচ দশক পর, ২০২১ সালে, যখন তাঁর কর্কট রোগ ধরা পড়ে। তবে এবারও স্ত্রী, পরিবার আর চিকিৎসকদের প্রেরণায় প্রবল মানসিক শক্তির জোরে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ১৮ মে সকালে আমরা যখন আবুল হায়াতের বাসায় তাঁর মুখোমুখি হলাম, তখন তাঁকে দেখে কে বলবে বয়স ৮০ পেরিয়েছে! দিব্যি চনমনে, আগের দিনই চট্টগ্রাম থেকে শুটিং করে ফিরেছেন। তবু ক্লান্তির ছাপ নেই। এক দিন বিরতি দিয়ে মাসের ১৫-১৬ দিন কাজ করেন, টানা শিডিউল। এই বয়সেও এত শারীরিক ও মানসিক শক্তির উৎস কী? চায়ে চুমুক দিয়ে হাসলেন। টি–শার্ট আর ট্রাউজার পরা আবুল হায়াত আরাম করে বসলেন। খুলে দিলেন গল্পের ঝাঁপি। সেই ব্রিটিশ ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে, পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রাম হয়ে গল্প চলল আজকের ঢাকা পর্যন্ত।
এলাম নতুন দেশেমুনিষের (কুলি) কাঁধে চড়ে স্টেশনে আসা, রেলের কালো ইঞ্জিনের বিকট হুইসেল আর গোয়ালন্দ ঘাটে স্টিমার—এই তিনটা জিনিস মনে আছে। বয়স তখন মোটে তিন। দেশ ছেড়ে নতুন দেশে আসার গল্প এটা। ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্ম। বাবা এম এ সালাম ছিলেন রেলের চাকুরে। বদলি হলেন চট্টগ্রামে। পরিবার আর ভিটেমাটি ছেড়ে কেই–বা আসতে চায়। তবে চট্টগ্রামে গেলে রেলের কোয়ার্টার মিলবে। বাবা বলেছিলেন, ‘ভালো না লাগলে ফিরে আসব।’
তিন বছরের আবুল হায়াত তখন জানতেন না, আর ফেরা হবে না। নতুন সেই দেশই হয়ে যাবে তাঁর জীবনের ঠিকানা। পাহাড় ঘেরা পাড়া আর অনেক অনেক বন্ধু নিয়ে শুরু হবে নতুন জীবন।
আবুল হায়াতের তারকা পরিবার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল
রূপগঞ্জে ৪২ টি গ্রামের মানুষ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শনিবার (২৪ মে) সকালে নগর পাড়া - চানপাড়া সড়কের নগরপাড়া বাজার এলাকায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, স্কুলের শিক্ষার্থী সহ হাজারো মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অংশগ্রহণ করেন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ারে আগুন ও গাছের গুড়ি ফেলে ঘন্টাব্যাপি চনপাড়া-নগরপাড়া সড়ক অবরোধ করে রাখে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিং না কমালে ও ডিজিএমের অপসারণ করা না হলে বিদুৎ অফিস ঘেরাওসহ বড় ধরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বক্তারা ঘোষণা দেন।
বক্তারা বলেন, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৪২ গ্রাম বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। এখানে বিদ্যুৎ থাকে না বলেই চলে। সপ্তাহের ছুটির দিনেও নানা অজুহাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। ফলে মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন মিয়া, আনোয়ার হোসেন আনু, নাসির আহম্মেদ, আব্দুস সাত্তার, নুর হোসেন, আক্তার হোসেন, সালাউদ্দিন ফালা প্রমুখ।