নাটোরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ
Published: 24th, May 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এইচবিবি রাস্তার নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, শিডিউল অনুযায়ী এক নম্বর ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও তিন নম্বর বা মিঠা ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রাস্তাটি শিবপুর পদ্মবিলের নিকট এইচবিবি রাস্তার মাথা থেকে কচুয়া ব্রিজ অভিমুখে এবং শিবপুর সোহেলের বাড়ির নিকট রাস্তার মাথা থেকে চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাস্তার নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্বে আছেন ফয়সাল আহমেদ শুভ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এক নম্বর ইটের পরিবর্তে শুরু থেকেই তিন নম্বর বা ‘মিঠা’ ইট ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নিম্নমানের। এমনকি রাস্তায় বালু দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে তিন ইঞ্চি বালু দেওয়ার কথা, সেখানে এক থেকে দুই ইঞ্চির বেশি বালু দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা।
জানাগেছে, রাস্তায় ব্যবহৃত ইটগুলোর অন্তত ৭৫ ভাগই ভঙ্গুর প্রকৃতির, যা সামান্য ভ্যান বা সাইকেলের চাপেই ভেঙে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও আবু সাঈদ বলেন, ‘‘ইটের মান এতটাই খারাপ যে, শতকরা ২০ ভাগ ইটও ভালো না। বালুও ঠিকমতো দিচ্ছে না। বারবার আপত্তি জানালেও কেউ কর্ণপাত করছে না।’’
কর্মরত শ্রমিকরাও নিম্ন মানের ইট ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘আমরা যা পাই, তাই দিয়ে কাজ করি। আমাদের করার কিছু নেই।’’
এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘ইটের মান খারাপ না, কিছু লোক অহেতুক অভিযোগ করছে।’’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এমদাদুল হক বলেন, ‘‘আমি নিজে গিয়ে ঠিকাদারকে সতর্ক করে ভালো মানের ইট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও যদি অনিয়ম হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আরিফুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন র ইট ব যবহ র র
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এইচবিবি রাস্তার নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, শিডিউল অনুযায়ী এক নম্বর ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও তিন নম্বর বা মিঠা ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রাস্তাটি শিবপুর পদ্মবিলের নিকট এইচবিবি রাস্তার মাথা থেকে কচুয়া ব্রিজ অভিমুখে এবং শিবপুর সোহেলের বাড়ির নিকট রাস্তার মাথা থেকে চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাস্তার নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্বে আছেন ফয়সাল আহমেদ শুভ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এক নম্বর ইটের পরিবর্তে শুরু থেকেই তিন নম্বর বা ‘মিঠা’ ইট ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নিম্নমানের। এমনকি রাস্তায় বালু দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে তিন ইঞ্চি বালু দেওয়ার কথা, সেখানে এক থেকে দুই ইঞ্চির বেশি বালু দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা।
জানাগেছে, রাস্তায় ব্যবহৃত ইটগুলোর অন্তত ৭৫ ভাগই ভঙ্গুর প্রকৃতির, যা সামান্য ভ্যান বা সাইকেলের চাপেই ভেঙে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও আবু সাঈদ বলেন, ‘‘ইটের মান এতটাই খারাপ যে, শতকরা ২০ ভাগ ইটও ভালো না। বালুও ঠিকমতো দিচ্ছে না। বারবার আপত্তি জানালেও কেউ কর্ণপাত করছে না।’’
কর্মরত শ্রমিকরাও নিম্ন মানের ইট ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘আমরা যা পাই, তাই দিয়ে কাজ করি। আমাদের করার কিছু নেই।’’
এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘ইটের মান খারাপ না, কিছু লোক অহেতুক অভিযোগ করছে।’’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এমদাদুল হক বলেন, ‘‘আমি নিজে গিয়ে ঠিকাদারকে সতর্ক করে ভালো মানের ইট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও যদি অনিয়ম হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আরিফুল/এস