আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘‘দেশে চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। আমরা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ভেবেছিলাম, দেশের রাজনৈতিক নেতারা এর থেকে শিখবে কিন্তু কোনো মৌলিক পরিবর্তন আসেনি।’’ 

শনিবার (২৪ মে) দুপুরে নাটোরে একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘‘ড.

ইউনূস সরকারকে সব সক্রিয় রাজনৈতিক দল অনুমোদন ও সমর্থন দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ম্যান্ডেটওয়ালা সরকার হচ্ছে এ সরকার। দেশের ১৫ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের ম্যান্ডেটওয়ালা সরকার আসেনি। সেই সরকারকে আপনি বলছেন, ম্যান্ডেট নেই। এসব কথা তো ইন্ডিয়ার অভিমত। আমরা গত ১০ মাস ধরে ইন্ডিয়ার গণমাধ্যমে যে যে বক্তব্য, যে যে শব্দে শুনছি; সব একই কথা আপনি বলছেন।’’

আরো পড়ুন:

বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান: যেভাবে ছড়ায় প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব

অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন: বিবিসি বাংলাকে নাহিদ

ভারতকে নিয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘‘চৌদ্দশ শহীদের জীবনের বিনিময়ে দিল্লির গোলামি থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। অতএব ইন্ডিয়া থেকে তাকে (শেখ হাসিনা) ফিরিয়ে আনাটা হচ্ছে মীরজাফরি ছাড়া কিছুই না। আমরা দেখেছি যে ফখরুদ্দিন, মঈনউদ্দিনরা মিলে প্রণব মুখার্জির দরবারে গিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে বিক্রির চেষ্টা করছিল।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘সব ধরনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলছি, যে আপনারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের স্বার্থে কোনটা প্রয়োজন তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবেন। কোনটা হওয়া প্রয়োজন, কোনটা প্রয়োজন নেই- সেটা নিয়ে কথা বলবেন।’’ 

এবি পার্টির নাটোর জেলার আহ্বায়ক মো. শাহ্ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলসহ স্থানীয় নেতারা।  

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধীর সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব বহিষ্কার 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ওয়ালিদ আহমেদ অলিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার সংগঠনের আহ্বায়ক মো. অলি উল্লাহ ও সদস্যসচিব আল নুর মোহাম্মদ আয়াস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মে তারিখে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছিল। যার সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন ওয়ালিদ আহমেদ অলি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ওয়ালিদ আহমেদ অলি কেন্দ্রীয় ঘোষিত নেতাদের নামে বিষোদগার করে সাংগঠনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থি কাজ করেছেন। এছাড়াও, নবগঠিত জেলা ও মহানগর কমিটি কর্তৃক আয়োজিত একটি আন্দোলনের আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়ালিদ আহমেদ অলি সংগঠনে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে স্বেচ্ছাচারিতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের পরিচয় দিয়েছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক ব্যানার ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি ময়মনসিংহ শহরের আলোচিত ‘সুন্দর মহল’ ভাঙচুরের ঘটনায় ওয়ালিদ আহমেদ অলির ব্যক্তিগতভাবে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি দায়িত্বশীলদের অবহিত না করে সেখানে অবস্থান করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে সংগঠনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছেন।

এ বিষয়ে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ওয়ালিদ আহমেদ অলি সমকালকে বলেন, যাদের স্বাক্ষরে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের সঙ্গে কেন্দ্রের কোনো যোগাযোগ নেই। এই বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আগামীকাল আমরা কর্মসূচি দেব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ