দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হরহরিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ মণ্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গোষ্ঠ মোহন চৌধুরী (৪৯) খয়েরবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

এ ছাড়া শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকার ফজলুল হক চৌধুরী জুয়েল (৪৯) ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। গ্রেপ্তার আরেক নেতা একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৫৫)। তিনি শিবনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। অপরজন এলুয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার তারিকুল ইসলাম (৪৫)। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি।

ফুলবাড়ী থানার ওসি এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌর শহরে মিছিল বের করেন। সে কর্মসূচিতে ককটেল হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ আলী সাহাজুল ও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী খোকনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। 

এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ ইসলাম বাদী হয়ে ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০ তেকে ১৫০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। তদন্তের একপর্যায়ে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর উপজ ল র ব এনপ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ