বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলা মামলায় ৫ জন গ্রেপ্তার
Published: 24th, May 2025 GMT
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হরহরিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ মণ্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গোষ্ঠ মোহন চৌধুরী (৪৯) খয়েরবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ ছাড়া শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকার ফজলুল হক চৌধুরী জুয়েল (৪৯) ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। গ্রেপ্তার আরেক নেতা একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৫৫)। তিনি শিবনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। অপরজন এলুয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার তারিকুল ইসলাম (৪৫)। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি।
ফুলবাড়ী থানার ওসি এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌর শহরে মিছিল বের করেন। সে কর্মসূচিতে ককটেল হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ আলী সাহাজুল ও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী খোকনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ ইসলাম বাদী হয়ে ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০ তেকে ১৫০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। তদন্তের একপর্যায়ে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর উপজ ল র ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাড্ডায় গ্যাস বিস্ফোরণ: আরও এক শিশুর মৃত্যু, আগুনে প্রাণ গেল একই পরিবারের চারজনের
রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ একই পরিবারের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মিথিলা আক্তার (৭)। এ নিয়ে প্রাণ হারালেন পরিবারের চারজন। হাসপাতালে এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে একমাত্র বেঁচে থাকা আরেক শিশু।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মিথিলা। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিথিলার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
১৬ মে রাজধানী ঢাকার বাড্ডার আফতাবনগরের একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লাগার ঘটনায় একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। আনন্দ নগর এলাকার নিচতলার ওই ফ্ল্যাটে কোনোভাবে গ্যাস লিক হয়ে পুরো ঘরে গ্যাস জমে ছিল। পরে রান্নার চুলা জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং বাসায় থাকা সবাই দগ্ধ হন।
দগ্ধদের মধ্যে প্রথমে গত রোববার বেলা তিনটায় মারা যায় ছোট মেয়ে তানজিলা (৪)। সে সময় চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর একই দিন রাত সাড়ে ১০টায় মারা যান মা মানসুরা বেগম (৩৫)। তাঁর শরীরের ৬৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। পরে বুধবার ভোরে মারা যান পরিবারের প্রধান তোফাজ্জল হোসাইন (৪৫)। তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এখন কেবল চিকিৎসাধীন রয়েছে পরিবারের একমাত্র সদস্য—এক শিশু তানিসা (৪)। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও চিকিৎসকেরা আশাবাদী হতে পারছেন না। বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা জানান, তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।