বিশ্বখ্যাত মোবাইল ফোন নির্মাতা নকিয়ার দুটি মডেলের স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। দুটি স্মার্টফোনের সঙ্গেই উপহার হিসেবে থাকছে নয়েজ ক্যানসেলিং ইয়ারবাডস।

বাংলাদেশে নকিয়ার একমাত্র অনুমোদিত পার্টনার সেলেক্সট্রা লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত নকিয়ার ফোনগুলো বাজেট সাশ্রয়ী। একবার চার্জে টানা তিন দিন চলবে নকিয়ার সি৩২ ও সি২২ স্মার্টফোন দুটি।

নকিয়ার সি৩২ (৭ জিবি+৬৪জিবি) ফোনটিতে রয়েছে ৬.

৫ ইঞ্চি এইচডি+ ডিসপ্লে, যার রেজল্যুশন ৭২০ x ১৬০০। ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স ও ২ মেগাপিক্সেলের সেকেন্ডারি লেন্স। সেলফিপ্রেমীদের জন্য রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোনে আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এ ছাড়া ফোনের সঙ্গে উপহার হিসেবে থাকছে নয়েজ ক্যানসেলিং ইয়ারবাডস। কালো ও সবুজ রঙে মডেলটির দাম ১৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

অপর মডেল সি২২ (৫ জিবি+৬৪ জিবি) ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৫ ইঞ্চি এইচডি+ ডিসপ্লে, যার রেজল্যুশন ৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল। ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি লেন্স ও ২ মেগাপিক্সেল সেকেন্ডারি লেন্স আর ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির এই মডেলে আছে মজবুত ধাতব কাঠামো, ২.৫ডি টাফেনড গ্লাসের সামনের অংশ এবং পেছনটা পলিকার্বনেটের। ফোনের সঙ্গে থাকছে টি–শার্ট ও এক্সক্লুসিভ ইয়ারবাডস উপহার। কালো ও স্যান্ড—এই দুটি রঙের মডেলের ফোনটির দাম ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা: কীভাবে, কোথা থেকে শুরু করবেন

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার উচ্চ মান, ইংরেজি ভাষাভাষী দেশ হওয়া, ফান্ডিং সুবিধা ও জীবনযাত্রার মান। তবে আবেদনের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত পুরো যাত্রাটি দীর্ঘ, জটিল ও সময়সাপেক্ষ। এ সময়ে হতাশা ও অনিশ্চয়তা একেবারে স্বাভাবিক। ‘অ্যাডমিশন হবে, কি হবে না’—এমন উদ্বেগও মাঝেমধ্যে পেয়ে বসে। তবে সুসংগঠিত প্রস্তুতি থাকলে এই দীর্ঘ যাত্রাও সহজ হয়ে উঠতে পারে।

শুরুটা কোথায় করবেন

ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ দেওয়া (IELTS বা TOEFL) আবেদনপ্রক্রিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। অনেকেই মনে করেন, বেশি স্কোর পেলে ভর্তি বা ফান্ডিং পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়। তবে বাস্তবে ন্যূনতম রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করলেই যথেষ্ট। অতিরিক্ত স্কোরের জন্য অযথা দুশ্চিন্তা না করে প্রস্তুতির অন্যান্য বিষয়েও সমান গুরুত্ব দিন।

আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা, যেভাবে মিলবে সুযোগ১২ মার্চ ২০২৫বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কৌশল

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাই উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। প্রথমেই ঠিক করুন, আপনি কোন বিষয়ে পড়তে চান। এরপর দেখুন, কোন বিশ্ববিদ্যালয় সেই বিষয়ে সেরা এবং কোথায় ফান্ডিং সুবিধা বেশি। লোকেশন, কোর্সের কাঠামো, গবেষণার সুযোগ এবং অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের বিষয়গুলোও বিবেচনা করুন। ফান্ডিংয়ের সুযোগ যেখানে বেশি এবং যা আপনার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য পূরণে সহায়ক, সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিন।

মাস্টার্স বনাম পিএইচডি : আবেদনপদ্ধতি

মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সাধারণত সেন্ট্রাল অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করা হয়। পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে STEM (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথমেটিকস—এই চার বিষয়ের প্রথম অক্ষর মিলিয়ে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে স্টেম এডুকেশন) বিষয়ে প্রফেসরের সঙ্গে আগাম যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, তাঁদের গবেষণা তহবিল থেকেই শিক্ষার্থীদের বেতন এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। নন-STEM পিএইচডির ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল অ্যাপ্লিকেশন যথেষ্ট, তবে প্রফেসরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সব সময়ই ভালো। তাঁদের কাজ পর্যালোচনা করুন এবং কীভাবে আপনার দক্ষতা তাঁদের গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করুন।

ছবি: খালেদ সরকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা: কীভাবে, কোথা থেকে শুরু করবেন