জহুরি হোসে মরিনহো ঠিকই চিনেছিলেন স্কটিশ মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনেকে। ‘বিশেষ চরিত্র’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। ম্যানইউ একাডেমির ছাত্র হয়েও রেড ডেলিভসরা তার কদর বোঝেনি। গত মৌসুমে ৪৩ ম্যাচে ১০ গোল করা মিডফিল্ডারকে ৩০ মিলিয়নে বিক্রি করে দিয়েছিল তারা।

ওই ম্যাকটমিনে নাপোলির হয়ে সিরি এ শিরোপা স্কুদিত্তো জিতেছেন। শুধু শিরোপা জিতেছেন বললে ভুল হবে। নাপোলির হয়ে ৩৪ লিগ ম্যাচ খেলে ১২ গোল করেছেন তিনি। মৌসুমে করেছেন ১৩ গোল। ছয় গোলে সহায়তা দিয়েছেন। নাপোলির লিগ শিরোপা জয়ে ইতালির মৌসুমে সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন।

দল হিসেবে নাপোলি ও কোচ অ্যান্তোকিও কন্তের জন্য মৌসুম মোটেও সহজ ছিল না। কড়া হেড মাস্টার তিনি। সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে বেবেচিত ও দারুণ ফর্মে থাকা ভিক্টর ওসিমহেন প্রিমিয়ারি লিগে যেতে চেয়েও দলবদলের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পারেননি।

কন্তে তাকে নাপোলিতে রাখেনওনি। ধারে ১০০ মিলিয়ন দামের স্ট্রাইকারকে তুরস্কের লিগে ছেড়ে দেন বিনা দ্বিধায়। নাপোলির ভার বহনের দায়িত্ব এরপর পড়েছিল কাভিচা কাভারাস্তকেলিয়ার ওপর। তিনি শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে পিএসজি চলে আসেন।

ওই দলের ভার বহনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ম্যাকটমিনে এবং বেলজিয়াম স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। ১৪ গোলের সঙ্গে ১০ গোলে সহায়তা দেন লুকাকু। তবে মূল দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাকটমিনেই। ৯৮ বছরের ইতিহাসে নাপোলিকে চতুর্থ সিরি এ জিততে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন।

নাপোলির ইতিহাস সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত হন সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিয়াগো ম্যারাডোনা। ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। তৃতীয় শিরোপা নাপোলি জিতেছে ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরের বছর ২০২২-২৩ মৌসুমে। সেবার ওসিমহেন-কাভিচারা ছিলেন নাপোলিতে।

ম্যারাডোনার ফ্রেমের পাশে নিজের ফটোফ্রেম বাঁধিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন ওসিমহেন। ৩২ লিগ ম্যাচ খেলে ২৬ গোল করেছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল নাপোলি। এবার ইতালি লিগের সেরা ফুটবলার হয়ে এবং শিরোপা জিতে ম্যারাডোনার পাশে ফটোফ্রেম বাঁধানোর কীর্তি গড়লেন ম্যাকটমিনে।

নাপোলির এই শিরোপা জয়ে হৃদয় ভেঙেছে সিমোন ইনজাঘির ইন্টার মিলানের। মৌসুম জুড়ে পয়েন্ট টেবিলের লিডে ছিল দলটি। ট্রেবল জয়ের আশায় ছিল। কিন্তু এসি মিলানের কাছে কোপা ইতালিয়ানো হারের পর মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে লিগ শিরোপা হারাল লওতারো মার্টিনেজ, মেখিতেরিয়ানরা। ইন্টারের সামনে এখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সুযোগ আছে। ফাইনালে পিএসজির মুখোমুখি হবে তারা। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রণবীরের জোড়াতালির ভাইরাল শার্টের দাম কত?

রণবীর কাপুরের পরনে নীল রঙের জিন্স। গায়ে শার্ট, মাথায় ক্যাপ। তার গায়ের শার্ট একদম আলাদা। কারণ তাতে কয়েকটি জোড়াতালি রয়েছে। কিছু অংশ এমনভাবে ছেঁড়া, প্রথম দেখায় মনে হবে— জামাটি ইঁদুরে কেটেছে। এমন পোশাকে একটি বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায় রণবীরকে। হাস্যোজ্জ্বল মুখে ক্যামেরার সামনে পোজও দেন এই তারকা। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও ক্লিপে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন ‘অ্যানিমেল’ তারকা রণবীর। মূলত, ভিডিওটি এক মাস আগের। সম্প্রতি পুরোনো সেই ভিডিও নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। চর্চায় মেতেছেন নেটিজেনরা। 

রণবীর কাপুরে শার্টটি নিয়ে রসিকতা করছেন নেটিজেনরা। দেবজ্যোতি লেখেন, “গরীব, মহা গরীব।” রিয়া লেখেন, “ওনারা এমন পোশাক পরলে, সেটা ফ্যাশন। আর আমরা পরতে গেলে লজ্জা পাই।” আশুতোষ লেখেন, “অভিনেতা ধনী-গরীব।” প্রকৃতি লেখেন, “এটি ভিখারি শার্ট, স্টাইলিস্ট না।” এমন অসংখ্য মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার কড়া ভাষায় রণবীরের ফ্যাশন সেন্স নিয়েও সমালোচনা করেছেন।

আরো পড়ুন:

কত কোটি টাকার মালিক রণবীর কাপুর?

রামায়ণ: রাম-সীতা হতে কত কোটি টাকা নিলেন রণবীর-সাই পল্লবী?

রণবীরের জোড়াতালির শার্ট নিয়ে হাসি-তামাশা চললেও দাম জানলে অনেকে ভড়কে যেতে পারেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শার্টটি তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড কিথ। দেশটির লস অ্যাঞ্জেলেসে তৈরি হয়েছে এটি। 

এ ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, শার্টটি তৈরিতে সুতি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। স্প্লিট সাইড সেলাই, ক্যাঙ্গারু পকেট, ভিনটেজ বোতাম ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় শার্টটির দাম ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ টাকা।

রণবীর কাপুরের পরবর্তী সিনেমা ‘রামায়ণ’। নীতেশ তিওয়ারি নির্মিত এ সিনেমায় রাম চরিত্রে অভিনয় করছেন। তার বিপরীতে রয়েছেন সাই পল্লবী; সীতা রূপে দেখা যাবে তাকে। রণবীর এ সিনেমার এক পার্টের জন্য ৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন বলে জানা যায়। হিন্দি, তামিল, তেলেগু ছাড়া আরো বেশ কিছু ভাষায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে। ২০২৬ সালের দীপাবলিতে সিনেমাটির প্রথম পার্ট মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ