সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৭ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। আর ই-রিটার্নের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২১ জন করদাতা।

মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এনবিআরের অটোমেশনের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। করদাতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রিটার্ন দাখিলে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। করদাতাদের চাহিদা ও মতামতের ভিত্তিতে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া ক্রমশ সহজীকরণ ও আরও করদাতা বান্ধবকরণের ফলে এই অর্থবছরে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯২ জন করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ই-রিটার্ন দাখিল করেন পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা।

করদাতাদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা বছর ধরে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ প্রদান অব্যাহত ছিল, যা চলমান থাকবে। সেই সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের পর করদাতাদের রিটার্নে কোন ভুলত্রুটি হলে আয়কর আইন-২০২৩ এর ১৮০(১) ধারা অনুযায়ী মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ১৮০(২) ধারা অনুযায়ী ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ অব্যাহত থাকবে।

এনবিআর বলছে, সব ধরনের আয়কর সেবা করদাতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সংস্থাটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নতুন অর্থবছর জুড়েই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ দেওয়া অব্যাহত থাকবে। করদাতারা নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

এনবিআর গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে সরকারি ও বেসরকারি খাতের কিছু করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দেশের সব তফশিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর এবং বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

এনবিআরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত এক কোটি ১২ লাখের মত মানুষের কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন নিবন্ধন রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আয়কর র ট র ন অনল ইন আয়কর র ট র ন দ খ ল র ট র ন দ খ ল কর করদ ত দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ব্যবসা বেড়ে তিন গুণ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সামিট অ্যালায়েন্স (এসএ) পোর্টের ব্যবসা তিন গুণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মুনাফাও। চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি ১৫৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ব্যবসা বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বরের চেয়ে চলতি বছরের একই সময়ে ৯৯ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে কনটেইনার সেবাদাতা এই কোম্পানি।

গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বরের চেয়ে চলতি বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা সাড়ে তিন কোটি টাকা বা প্রায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের চেয়ে কোম্পানিটির ব্যবসা তিন গুণ বাড়লেও মুনাফা সেই অনুযায়ী বাড়েনি। এর প্রধান কারণ ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিচালন খরচও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির ৫৫ কোটি টাকার ব্যবসার বিপরীতে পরিচালন খরচ ছিল সাড়ে ২৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ ৫৫ কোটি টাকার ব্যবসার বিপরীতে পরিচালন খরচ ছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ। চলতি বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন খরচ বেড়ে ৭৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৫৪ কোটি টাকার ব্যবসার বিপরীতে কোম্পানিটির পরিচালন বাবদ ব্যয় হয় ১১৩ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রশাসনিক খরচও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির পরিচালন খরচ ছিল পাঁচ কোটি টাকা। চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে হয়েছে ১০ কোটি টাকার বেশি।

কোম্পানি–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পরিচালন ও প্রশাসনিক ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা যতটা বেড়েছে, মুনাফা ততটা বাড়েনি। তা সত্ত্বেও কোম্পানিটির ব্যবসা ও মুনাফা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।

খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের আমদানি-রপ্তানি বছর বছর বাড়তে থাকায় কনটেইনার ব্যবস্থাপনা সেবার ব্যবসাও বাড়ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে পণ্যবাহী কনটেইনার ব্যবস্থাপনার ব্যবসাও বড় হচ্ছে। দেশে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ১৯টি ডিপো থাকলেও সিংহভাগ ব্যবসা করছে ৬টি কনটেইনার ডিপো।

কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বেসরকারি খাতের ১৯টি ডিপো আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ৮ লাখ ৩০ হাজার একক কনটেইনার ব্যবস্থাপনা করেছে। গত বছরের একই সময়ে যে সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার একক কনটেইনার। সেই হিসাবে বেসরকারি এ খাতে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। এ খাতের ব্যবসায় সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের অবস্থান তৃতীয়। সামিট গ্রুপ ও অ্যালায়েন্স হোল্ডিংসের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ৯২ হাজার ৬৭০ একক কনটেইনার ব্যবস্থাপনা করেছে। এই ডিপোর বাজার হিস্যা ১১ শতাংশ।

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৮ সালে। বর্তমানে এটি শেয়ারবাজারে ভালো মানের এ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি। সর্বশেষ গত অক্টোবর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ৫৯ শতাংশই ছিল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। বাকি ৪১ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৪৪ টাকা ৬০ পয়সা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
  • ওয়েস্টিন ও শেরাটনের ব্যবসা বেড়েছে 
  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • নভেম্বরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা 
  • পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 
  • টিপু মুনশি, মুজিবুল হক, শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
  • একজন সরকারি চাকরিজীবী কীভাবে আয়করের হিসাব করবেন
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ব্যবসা বেড়ে তিন গুণ
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%