ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে কুকি জনজাতি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলায় চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একটি গাড়িতে তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি মৃতদেহে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া একজন নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
এনডিটিভি জানায়, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরুর পাশাপাশি আততায়ীদের খুঁজে বের করতে দক্ষিণ মণিপুরের ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এই খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে। মণিপুরে প্রায় দুই বছর ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকি-জো আদিবাসীদের মধ্যে সংঘাত চলছে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এবারের ঘটনা তার ব্যতিক্রম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, চূড়াচাঁদপুর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃতদেহ আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামে বিদ্রোহী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপপ্রধান থেনখোথাং হাওকিপ ওরফে থাহপি (৪৮) ছিলেন। মণিপুরের ১৭টি উপজাতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত বিদ্রোহী কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের অন্যতম সদস্য কেএনএ। ২০০৭-০৮ সালে কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করে সংঘর্ষে বিরতি ঘোষণা করে। কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের বিরোধী হচ্ছে ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি (ইউ-কেএনএ)। ইউ-কেএনএ সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতিতে যায়নি। তাদের বক্তব্য, কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন সংগঠন (যেমন কেএনএ) সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের নানাভাবে হেনস্তা করছে, অনেক সময় তাদের সদস্যদের হত্যাও করছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিএনপির নেতার মামলা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছমি উদ্দিন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ডিজিটাল অগ্রযাত্রা নামের একটি অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিবেদক মেহেদী হাসান পলাশ, প্রতিনিধি খান মঈন উদ্দিন ও ফাহিম হাসান সাদিক এবং টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দা সুলতান আহামদ ও ইমান হোসাইন।
অ্যাডভোকেট ছমি উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘‘বিএনপি নেতা শাহজাহান চৌধুরীর কাছে অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না পেয়ে গত ৪ জুন ‘ডিজিটাল অগ্রযাত্রা’ নামক একটি অনলাইন গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে। যার শিরোনাম ছিল ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট নেতাদের পুনর্বাসন করে শত কোটি টাকা আয় করেছেন শাহজাহান চৌধুরী’। এতে সুলতান আহামদ ও ইমান হোসাইনের ভুয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সংবাদে যাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে বাদীর কোনো ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে।”
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব