বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফটে আঘাত হেনেছে একটি লাগেজ ট্রলি টাগ। এতে বোয়িং এয়ারক্রাফটি বাইরে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তবে যখন ট্রলিটি আঘাত হানে তখন প্লেনের ভেতরে কোনো যাত্রী ছিল না। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে একে খাঁচা ট্রলি বলে। এটি দিয়ে বিমানে যাত্রীদের লাগেজ তোলা ও নামানোর কাজ করা হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ ঘটনা ঘটে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

মালদ্বীপ রুটে বিমানের ফ্লাইট ৬ বছরেও চালু হয়নি

বিমানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

তিনি জানান, ট্রলিটা চলন্ত অবস্থায় ছিল না, স্থির অবস্থায় ছিল। তীব্র বাতাসে এটি মুভ করে প্লেনে ধাক্কা দিয়েছে। তবে ট্রলি যখন আঘাত হাতে তখন ভেতরে কোনো যাত্রী ছিল না। ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে। তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছেন।

বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৮৯ ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ছয়টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকায় এসে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি পার্কিং বে’তে এসে থামে। ফ্লাইট থেকে যাত্রীদের নামানো হয়। সেসব যাত্রীদের লাগেজ নেওয়ার জন্য একটি খাঁচা ট্রলি সেখানে উপস্থিত হয়। পাশের পার্কিং বে’তে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুট পরিচালনা করা ড্যাশ ৮ উড্ডয়নে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। প্লেনটি যখন ডানে ঘুরে পাখার তীব্র বাতাসে খাঁচা ট্রলি উড়ে বোয়িং ৭৩৭ এয়ারক্রাফটে আঘাত করে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পলাতক আ.লীগ নেতার মাকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার-টাকা লুট

নোয়াখালীর কবিরহাটে বাড়িতে ঢুকে হোসনে আরা বেগম (৭০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীর ছেলে মোহাম্মদ কামাল খান উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

মোহাম্মদ কামাল খান স্থানীয়ভাবে কামাল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের এই নেতা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে আত্মগোপনে। তাঁর ভাই মাইন উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর মা বসতঘরে একাই ছিলেন। তিনি স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে তাঁর মায়ের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনটি কোপ দেয়। পরে দুটি কান ছিঁড়ে শরীরে থাকা প্রায় চার ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘরে বিছানার নিচে রাখা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুটে নেয়।

হোসনে আরাকে কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের সামনের কক্ষে অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর নাতি সালমান। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়। মাইন উদ্দিনের অভিযোগ, এটি নিছক চুরির ঘটনা নয়, এটি দুর্ধর্ষ ডাকাতি।

কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই নারী শরীরে সব সময় স্বর্ণালংকার পরতেন। তাদের ধারণা, চুরি করতে আসা দুর্বৃত্তদের চিনে ফেলায় তাঁকে কোপানো হয়। পুলিশ এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ