Prothomalo:
2025-07-04@12:24:39 GMT

সরকারের কি কিছুই করার নেই

Published: 4th, July 2025 GMT

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত অঞ্চল এক বিভীষিকাময় বাস্তবতার মুখোমুখি। স্থলমাইন বিস্ফোরণ সেখানকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনের জন্য বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত সাড়ে আট বছরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, দোছড়ি, সদর এবং রুমার রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়নে অন্তত ৫৭ জন মাইন বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন নিহত এবং ৪৪ জন পা হারিয়েছেন। সীমান্ত এলাকাটির জন্য এটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মূলত ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর থেকেই সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েছে। একসময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির নিয়ন্ত্রণে থাকা এই সীমান্ত অঞ্চল ২০২৩ সাল থেকে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) দখলে চলে যাওয়ার পর মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা আরও বেড়ে যায়। আর এর শিকার হয়ে পঙ্গু হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অক্ষম হয়ে যাওয়ায় পরিবার যেমন ভুগছে, সেসব ব্যক্তিও হয়ে পড়ছেন পরিবারের বোঝা।

বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মাইন বিস্ফোরণ সীমান্তের শূন্যরেখার ওপারে মিয়ানমারের ভূখণ্ডে হচ্ছে। বিজিবির টহল ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার কারণেই লোকজন হতাহত হচ্ছেন। সীমান্ত এলাকার মানুষকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। মিয়ানমার যেহেতু জাতিসংঘের মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করেনি, তাই তাদের মাইন ব্যবহারে জবাবদিহির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আগে বিজিপির সঙ্গে প্রতিবাদ ও আলোচনার সুযোগ থাকলেও এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণের কারণে সেই সুযোগও নেই।

শুধু মানুষের দায়ের বিষয়টি স্পষ্ট করে এ সংকট মোকাবিলা করা কীভাবে সম্ভব? সীমান্ত এলাকার নিরীহ ও দরিদ্র মানুষ ঝাড়ুফুল কাটতে গিয়ে বা পেটের তাগিদে সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় যাচ্ছেন, তাঁদেরকে সে কাজ থেকে কীভাবে রোধ করা যায়, তাঁদের কর্মসংস্থান বা জীবন–জীবিকা নিশ্চিত করার বিষয়টিও ভাবতে হবে। গরিব মানুষগুলোর এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা জরুরি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরাম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে বিষয়টি নিয়মিত তুলে যেতে হবে।

কার্যকর ও তৎপরমুখী কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আর যেসব পরিবার মাইন বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শুধু সতর্ক করলেই হবে না, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাঁদের বেঁচে থাকার অবলম্বন জোগাতে হবে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি সীমান্তবাসীদের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তাঁদের বিকল্প আয়ের উৎস সৃষ্টিতে সহায়তা করতে হবে। এর জন্য সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও স্থানীয় সব মহলের সম্মিলিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ম ইন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে ছেলের হাতে বাবা নিহত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মো. ইয়াসিন (২২) নামে যুবকের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী পূর্বপাড়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। 

নিহতের নাম মো. মাহবুব (৪২)। তিনি কৃষি কাজ করতেন। অভিযুক্ত ইয়াসিন ঘটনার পর থেকে পলাতক।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন

সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা: ২ নারীসহ গ্রেপ্তার ৫

এলাকাবাসী জানায়, সকালে ইয়াসিন তার বাবা মাহবুবের কাছে মোটরসাইকেল কিনতে টাকা চান। মাহবুব টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইয়াসিন উত্তেজিত হয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাহবুবকে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মাহবুবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‍“পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ