ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের জেল
Published: 4th, July 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অবৈধ সীসা কারখানায় অভিযান চালিয়ে তিন চীনা নাগরিকসহ ছয়জনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ওই কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চীনা নাগরিক ঝানা ইয়াংলিয়াং (৪৪), ঝু শিংলিয়াং (৪১), সান বেনহুয়া (৬৩), বাংলাদেশি মো.
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রাখিবুল হাসান জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধভাবে সিসা কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তারা। কারখানায় সিসা গলানোর কারণে পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব পড়ছিল।
কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে তিন চীনা নাগরিকসহ ছয়জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা বন্ধ করা হয় বলে জানান পরিদর্শক মো. রাখিবুল হাসান।
ঢাকা/পলাশ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, পালানোর সময় এপিবিএন সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬
বগুড়ায় আটকের ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় এপিবিএনের একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন এপিবিএনের কনস্টেবল (গাড়িচালক) আল হাদী (২৭), সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী তারেক রহমান (২৫) ও শাহরিয়ার রহমান (২৬) এবং কলেজশিক্ষার্থী আবিদ হাসান (২৬), সাদিক আকবর (২৬) ও মো. আবদুল্লাহ (১৮)। তাঁদের বিরুদ্ধে বগুড়ার সোনাতলা থানায় মামলা করা হয়েছে।
সদর থানা সূত্রে জানা যায়, এপিবিএনের সদস্য আল হাদীর গ্রামের বাড়ি সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি গ্রামে। পাশের কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর পরিবারের বিরোধ আছে। গ্রেপ্তার ছয়জন গতকাল রাতে এপিবিএনের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে কাতলাহার গ্রামে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে অনলাইন জুয়া খেলার অভিযোগে শফিকুরের ছেলে ওয়ালিদকে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় শফিকুর রহমান ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন। পরে শফিকুর রহমান জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানালে গাবতলী ও সদর থানা–পুলিশ পিকআপটি আটকে অভিযানে নামে। পরে রাত দেড়টার দিকে শহরতলির সাবগ্রাম দ্বিতীয় বাইপাস এলাকায় গতিরোধ করে এপিবিএনের পিকআপসহ ছয়জনকে আটক করে সদর থানা–পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, এপিবিএনের সদস্য আল হাদীর পরিবারের সঙ্গে কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমানের বিরোধ ছিল। তাঁর ছেলেকে আটকের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে পালানোর সময় সদর থানা–পুলিশ ওই ছয়জনকে আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় মামলা হয়েছে।
এপিবিএনের বগুড়ার অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. শহীদ আবু সরোয়ার বলেন, কনস্টেবল আল হাদী এপিবিএনের গাড়িচালক। তাঁর বাড়ি সোনাতলা উপজেলায়। অনুমতি ছাড়াই তিনি এপিবিএনের সরকারি গাড়ি নিয়ে সোনাতলা উপজেলায় গিয়েছিলেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়িটি এপিবিএনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত আল হাদীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।