চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আজমানে গিয়ে আবাসন সম্রাট, অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন
Published: 4th, July 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাউজানের জসিম উদ্দিন আবাসন-সাম্রাজ্য গড়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে। একসময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যে গাড়ির পুরোনো যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন। এরপর জমি কেনা শুরু করেন। ভবন বানিয়ে বিক্রি করেন অভিজাত ক্রেতাদের কাছে, যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি ক্রেতা।
আজমানে জসিমের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ইউনুছ রিয়েল এস্টেটের অফিস থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিষ্ঠানটির নাম পাওয়া গেছে সেখানকার সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয়ে। প্রবাসীদের কাছে জসিম সম্পর্কে বেশি তথ্য নেই। তবে হঠাৎ করে আবাসন খাতে তাঁর বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
বিনিয়োগের জন্য জসিম বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাঠানোর কোনো অনুমোদন নিয়েছেন, এমন তথ্য নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। তবে আলোচনা আছে, বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের কেউ কেউ তাঁর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের জমিতে লগ্নি করেছেন। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যের নতুন অভিবাসনের নীতি অনুযায়ী সাড়ে ছয় কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ বছরের নবায়নযোগ্য রেসিডেন্স পারমিট (বসবাসের অনুমতি) পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারীর তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখে আরব আমিরাত।
মধ্যপ্রাচ্যের আধুনিক শহরগুলোতে বাংলাদেশিদের জমি-ফ্ল্যাট ক্রয়ের প্রবণতা আগে থেকেও ছিল, ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নীতির পর এই প্রবণতা আরও বেড়েছে।
আজমান ও দুবাই
আজমানে জসিমের বিনিয়োগ সম্পর্কে খোঁজ পাওয়া যায় দুই বছর আগে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চট্টগ্রামের রাউজানে খোঁজ নিয়ে জসিম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজ্য আজমানের শিল্প এলাকায় একটি সড়ক ধরে যেতে যেতে চোখে পড়ল সারি সারি সুদৃশ্য বাড়ি। গুনে দেখলাম ২৬টি বাড়ি, একই নকশার। সঙ্গী দুই প্রবাসীকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। অনেক বাড়ির সামনে ভাড়া বা বিক্রির সাইনবোর্ড ঝোলানো। একটি বাড়ির সামনে চোখ পড়ল ইউনুছ রিয়েল এস্টেটের সাইনবোর্ড। এই কার্যালয়ে ওবায়দুর নামে পরিচয় দেওয়া এক কর্মী জানালেন, ‘আমাদের স্যার বাংলাদেশি। চট্টগ্রামের রাউজানের জসিম স্যার এটার মালিক।’
আজমানের শিল্প এলাকার সড়ক ধরে যেতে যেতে যেসব বাড়ি চোখে পড়েছিল, সেগুলোর সামনে নাম লেখা জেআর রেসিডেন্স। ইউনুছ রিয়েল এস্টেটের কার্যালয়ে আমাদের দেখানো হলো জেআর রেসিডেন্সের বিভিন্ন ভবনের ফ্ল্যাটের ‘ক্যাটালগ’। ভবনগুলোতে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা। আশপাশে ভালো স্কুল, বিপণিবিতান থাকার কথাও জানালেন ইউনুছ রিয়েল এস্টেটের কর্মকর্তারা। তাঁরা বললেন, অনেক বাংলাদেশি সেখানে ফ্ল্যাট কিনেছেন।
আজমানে ইউনুছ রিয়েল এস্টেটের আরও কয়েকটি ভবন রয়েছে। ওই এলাকায় খাবারের হোম ডেলিভারি (বাসায় পৌঁছে দেন) করার কাজ করা এক বাংলাদেশি বললেন, এসব বাড়ি বাংলাদেশের জসিমের। এতগুলো বাড়ির কারণে এলাকাটি মুখে মুখে ওনার নামে নামকরণ হয়ে গেছে।
৫ থেকে ৯ কোটি টাকায় ফ্ল্যাট
২৬টি ভবনে ঠিক কয়টি ফ্ল্যাট আছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে জেআর রেসিডেন্স-৯ ও ১০ এর ক্যাটালগে প্রতিটি ভবনে ২০টি করে ফ্ল্যাটের নমুনা ছিল। আজমানে সম্পদ কেনাবেচার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে জানা যায়, জেআর রেসিডেন্সের ফ্ল্যাট বিক্রি করা হচ্ছে দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ দিরহামে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ থেকে ৯ কোটি টাকার সমান।
আজমান ও দুবাইয়ের একাধিক প্রবাসী ব্যবসায়ী বললেন, জসিম উদ্দিন একসময় গাড়ির পুরোনো যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন। পরে তিনি বাংলাদেশে সোনা পাঠানোর অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে চট্টগ্রামের একাধিক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের দিকে হঠাৎ করেই তিনি আজমানের আবাসন খাতে বড় বিনিয়োগ করেন। পরে আজমান ও দুবাইয়ের আরও অনেক এলাকায় জমি কিনেছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন ইউনুছ গ্রুপ।
আজমানের একটি সরকারি অফিস থেকে পাওয়া রিয়েল এস্টেট মালিকদের একটি তালিকায় রয়েছে ইউনুছ রিয়েল এস্টেটের নাম। যার মালিক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউনুছ। তাদের এজেন্ট নম্বর ২৯৭৮।
ইউনুছ রিয়েল এস্টেটের ওয়েবসাইটে বলা আছে, জেআর কন্ট্রাকটিং নামেও তাদের প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ভবন নির্মাণ করে থাকে। তাদের কার্যালয়ও ইউনুছ রিয়েল এস্টেটের ভবনে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুবাইয়ের একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বলেন, ২০১৯ সালের পর হঠাৎ ফুলেফেঁপে ওঠেন জসিম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে প্রবাসী জসিম উদ্দিনের গড়ে তোলা আবাসন সাম্রাজ্যের একাংশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ আর র স ড ন স আজম ন র প রব স ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নিপোর্টে ১০১ পদে চাকরি, নিয়োগ পেতে করুন আবেদন
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) ১০১টি শূন্য পদে নিয়োগে আবেদন চলছে। আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রাজস্ব খাতভুক্ত ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডে এসব নিয়োগ দেওয়া হবে।
পদের নাম ও বিবরণ১. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ০৭
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯–এর তফসিল-২ ও ৩ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৪) ১০,২০০–২৪,৬৮০ টাকা।
২. হাউজ কিপার
পদসংখ্যা: ০৫
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯–এর তফসিল-২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৪) ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।
০৯ নভেম্বর ২০২৫
আরও পড়ুন৫০তম বিসিএস: নন-ক্যাডার পদ নির্ধারিত না হওয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্ব০৯ নভেম্বর ২০২৫৩. এভি অপারেটর
পদসংখ্যা: ০২
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে বিজ্ঞান শাখায় অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; অডিও ভিজ্যুয়াল ইকুইপমেন্ট পরিচালনায় অন্যূন ৩ বছরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা; কম্পিউটার পরিচালনায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯–এর তফসিল-২ ও ৪ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৫) ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা।
৪. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ০৫
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯–এর তফসিল-২ ও ৪ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।
০৯ নভেম্বর ২০২৫
আরও পড়ুনবিসিএসে রিপিট ক্যাডার বন্ধ কেন জরুরি, এতে লাভ কার?০৯ নভেম্বর ২০২৫৫. নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ৪০
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; শারীরিকভাবে কর্মক্ষম হতে হবে এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯–এর তফসিল-৫ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-২০) ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
৬. ওয়ার্ড বয়
পদসংখ্যা: ১৮
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯–এর তফসিল-৫ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-২০) ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
০৮ নভেম্বর ২০২৫
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষক ১০,২১৯ পদে আবেদন শুরু, দেখুন নির্দেশনা, পদ্ধতি ও শর্তগুলো০৮ নভেম্বর ২০২৫৭. অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ০৮
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর/পরিদপ্তর এবং দপ্তরের কমন নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯–এর তফসিল-৫ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-২০) ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো