ফেনীতে আলী হোসেন ফাহাদ (২০) নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে দেখতে গিয়ে থানায় স্ট্রোক করে বাবার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে বাবার মৃত্যু বিবেচনায় ছেলেকে আত্মীয়-স্বজনের জিম্মায় জামিন দিয়েছে পুলিশ। 

বুধবার (২ জুলাই) রাতে ফেনী মডেল থানা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। 

আলী হোসেন ফাহাদ শর্শদী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আকবরের ছেলে৷ তিনি ওই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। 

জানা যায়, গত বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে শর্শদী স্কুলের সামনে থেকে তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে মডেল থানায় হস্তান্তর করে। 

ছেলের গ্রেপ্তারের খবর শুনে তার বাবা আলী আকবর থানায় ছুটে যান। থানার ভেতরে ছেলেকে আটক অবস্থায় দেখে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আলী আকবরের জানাজা শেষে শর্শদি এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, “মডেল থানার অনুরোধে আমাদের সহযোগিতায় ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, “ফাহাদ সরাসরি কোনো মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও সন্দিগ্ধ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাবার মৃত্যুর বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে তাকে আত্মীয়-স্বজনের জিম্মায় জামিনে দেওয়া হয়েছে।”

পরিবারের দাবি, ফাহাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, তবুও তাকে অকারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুদকের তলবে হাজির হননি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) যাননি তিনি। আজ বুধবার তাঁকে দুদকে তলব করা হয়েছিল।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন দুপুরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা তাঁকে ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি এসেছিলেন কি না, সেটা তাঁর জানা নেই। তবে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান আজ দুদকে যাননি।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে, তাঁর বক্তব্য জানতে তলব করা হয়। যদি তিনি না আসেন, তাহলে ধরে নেওয়া হয় তাঁর কোনো বক্তব্য নেই।

গত ৩০ জুন দুদকের এক নোটিশে অভিযোগসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকে আজ সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছেলের গ্রেপ্তারের খবরে থানায় বাবা, সেখানে জ্ঞান হারিয়ে মৃত্যু
  • দুদকের তলবে হাজির হননি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান