ছেলে গ্রেপ্তারের খবরে বাবার মৃত্যু, শর্তে মুক্ত ছাত্রলীগ নেতা
Published: 4th, July 2025 GMT
ফেনীতে আলী হোসেন ফাহাদ (২০) নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে দেখতে গিয়ে থানায় স্ট্রোক করে বাবার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে বাবার মৃত্যু বিবেচনায় ছেলেকে আত্মীয়-স্বজনের জিম্মায় জামিন দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে ফেনী মডেল থানা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আলী হোসেন ফাহাদ শর্শদী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আকবরের ছেলে৷ তিনি ওই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
জানা যায়, গত বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে শর্শদী স্কুলের সামনে থেকে তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে মডেল থানায় হস্তান্তর করে।
ছেলের গ্রেপ্তারের খবর শুনে তার বাবা আলী আকবর থানায় ছুটে যান। থানার ভেতরে ছেলেকে আটক অবস্থায় দেখে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আলী আকবরের জানাজা শেষে শর্শদি এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, “মডেল থানার অনুরোধে আমাদের সহযোগিতায় ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, “ফাহাদ সরাসরি কোনো মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও সন্দিগ্ধ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাবার মৃত্যুর বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে তাকে আত্মীয়-স্বজনের জিম্মায় জামিনে দেওয়া হয়েছে।”
পরিবারের দাবি, ফাহাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, তবুও তাকে অকারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”
আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”
গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/এস