বেশির ভাগ সবজির দাম এখন ৬০-৮০ টাকার ওপরে
Published: 4th, July 2025 GMT
বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকার ওপরে। আর মিনিকেট চাল উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহ আগে মিনিকেটের দাম বেড়ে যেখানে উঠেছিল, এখনো সেখানেই আছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম রয়েছে। এ ছাড়া ঈদের পরে চিনি এবং কয়েক ধরনের ডালের দামও কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার আদাবর বাজার, কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ানবাজার ঘুরে এ রকম তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দামই কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যেমন গতকাল প্রতি কেজি ঝিঙে, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম দুই সপ্তাহ আগে ৪০-৫০ টাকা ছিল। বরবটি ও কাঁকরোলের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা হয়েছে। ধরনভেদে বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকার মতো।
বিক্রেতাদের হিসাবে বর্তমানে ৬০ থেকে ৮০ টাকার আশপাশে দাম রয়েছে টমেটো, বরবটি, কাঁকরোল, বেগুন, করলা, ঢ্যাঁড়স, লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও কচুর লতির দাম। আর কেজিপ্রতি ৫০ টাকার কমে বিক্রি হচ্ছে কেবল পেঁপে, মিষ্টিকুমড়াসহ হাতে গোনা দু-চারটি সবজি। অবশ্য কারওয়ান বাজার বা বড় পাইকারি বাজারে প্রতিটি সবজির দামই তুলনামূলক কম। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার সবজির দাম কিছুটা বেড়ে যায়।
এখন মৌসুম নয়, এমন কিছু সবজিও বাজারে রয়েছে। এ ধরনের সবজির দাম অনেক চড়া। যেমন শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ধনেপাতা। এর মধ্যে প্রতি কেজি শিম ৩০০-৪০০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০-৪০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু, শসা, গাজর প্রভৃতি আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০, রসুন ১২০ থেকে ২০০, আদা ১৪০ থেকে ২২০ ও আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য পাড়া–মহল্লায় এ দাম আরও কিছুটা বেশি।
চাল বাড়তি দামে স্থিতিশীল
তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে সরু তথা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। মূলত কোরবানির ঈদের পরেই চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। এ সময়ে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ডায়মন্ড, সাগর, মঞ্জুর, রশিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল এখন ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এসব চালের কেজি ছিল ৭৫-৭৬ টাকা। মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম সবচেয়ে বেশি; প্রতি কেজি ৮৫-৯০ টাকা, যা ঈদের আগে ৮০ টাকা ছিল। এ ছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা (মোটা চাল) ৫৫-৫৮ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ (মাঝারি চাল) জাতের চাল ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমিষজাতীয় খাদ্যের মধ্যে মাছ, মুরগি ও মাংসের দাম অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় এ দাম কিছুটা বেশি হতে পারে।
খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০-৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা। মাছের মধ্যে প্রতি কেজি চাষের রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ২৮০, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০, কই ২৮০ থেকে ৩০০, পাবদা ও শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো কমে ১০৫ টাকা হয়েছে। আর প্যাকেট চিনি কেজিতে ৫ টাকা কমে ১১৫ টাকা হয়েছে। মোটা দানার মসুর ডালের কেজি এখন ৯৫ টাকা, যা আগে ৫-১০ টাকা বেশি ছিল। মুগডালের দামও কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমে ১৬০-১৬৫ টাকা হয়েছে। মসলার মধ্যে জিরার দাম আগের তুলনায় কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে। তাতে প্রতি কেজি জিরা এখন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এত দিন সবজির দাম অনেকটাই কম ছিল। হঠাৎ করে সবজি ও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সংসারের ব্যয় বেড়ে গেছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সবজ র দ ম ১০০ ট ক ৮০ থ ক ৮০ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের জালে জাপানের ১১ গোল
অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকিতে ছেলেদের উড়ন্ত সূচনার পর এবার মেয়েদের দিয়ে শুরু হলো হতাশার। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জাপানের বিপক্ষে রীতিমতো ব্যর্থতার ছবি আঁকল বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৮ নারী হকি দল। চীনের দাজু হকি ট্রেইনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা হেরেছে ১১-০ গোলে।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য খুব একটা খারাপ ছিল না। প্রথম কোয়ার্টারে একটি মাত্র গোল হজম করেই প্রতিরোধ গড়ার আভাস দিয়েছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ছন্দপতন ঘটে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আরও দুই গোল হজম করে বাংলাদেশ। বিরতিতে যাওয়ার আগে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-০।
তৃতীয় কোয়ার্টারে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের। জাপান সেখান থেকে মাত্র একবারই জাল খুঁজে নেয়। তবে শেষ কোয়ার্টারে পুরোপুরি ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। মাত্র ১৫ মিনিটে হজম করে আরও ৭ গোল। তাতেই ১১-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশ দলকে।
আজ বাংলাদেশ পুরুষ দলের খেলা নেই। আগামীকাল ছেলেরা লড়বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে হংকংকে গতকাল ৩-০ গোলে হারায় তারা। কাল দ্বিতীয় ম্যাচে উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হবে মেয়েরা। দুটি ম্যাচই চীন সময় বিকেলে।