বন্দরে বিচার শালিস বৈঠকেই হাতুড়ি পেটা, হোসেয়ারী শ্রমিকের মৃত্যু
Published: 4th, October 2025 GMT
বন্দরে বিচার শালিস বৈঠক চলাকালিন সময়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হোসেয়ারী শ্রমিক আলমগীর হোসেন (৫০) কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
নিহত হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হোসেন বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার মৃত সোহবান মিয়ার ছেলে ও মালেক সিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় বন্দর থানার সালেহনগরস্থ জনৈক রহিম মিয়ার বাড়ি সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে,বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীরের ছেলে মুন্নার সাথে একই থানার স্বল্পের চক এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে জুয়েলের সাথে টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ৭টায় উল্লেখিত এলাকায় বিচার সালিশ বসে। সালিশের মধ্যে মুন্নার পিতা আলমগীরের সাথে জুয়েলের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জুয়েল উত্তেজিত হয়ে আলমগীরের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে ।
পরবর্তীতে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আলমগ র
এছাড়াও পড়ুন:
দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল
শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর জীবনে এক আলোকদীপ্ত বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশসহ বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর এই ধর্মীয় উৎসব এক ঐশ্বর্যময় ঐতিহ্য মহিমামণ্ডিত। দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক।
বুধবার (২ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
নিউইয়র্কে ডিমকাণ্ড: হার্ড লাইনে এনসিপি, ‘প্রভাব পড়বে রাজনীতিতে’
নিউইয়র্কে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা অন্তর্বর্তী সরকারের
মির্জা ফখরুল বলেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী। এ উপলক্ষে আমি সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।”
পৃথিবীতে অঞ্চলভেদে যেকোনো উৎসবই মানুষের মধ্যে স্বর্গীয় আনন্দ ও শুভেচ্ছার বার্তা নিয়ে আসে, উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “উৎসবের প্রাঙ্গণে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সেটি প্রত্যেক মানুষেরই মিলনক্ষেত্র। বাংলাদেশের মৃত্তিকার গভীর থেকে যে ইতিহাস-ঐতিহ্য উৎসারিত হয়, সেটি ধর্মীয় স্বাধীনতা-মূল্যবোধকে অন্তর্ভুক্ত করে। দুর্গাপূজার মূল বাণী হচ্ছে, অশুভের ওপর শুভের জয়। দুর্গা তার গৌরবময় লক্ষ্য অর্জনের জন্য মন্দকে উপলব্ধি করেন, তা প্রতিহত করেন।”
ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক কোনো বৃত্তে আবদ্ধ থাকে না, উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “উৎসব বৃত্ত অতিক্রম করে সব মানুষকে নিয়ে উদযাপিত হয়। মানুষের আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে।”
অপশক্তির অশুভ তৎপরতা দুর্গাপূজার উৎসবে যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে বারবার সাম্প্রদায়িক উসকানি, বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর দেবালয় আক্রমণ-ভাঙচুরসহ নানা অপ্রীতিকর সাজানো ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তাদের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর। তবে, অশুভ চক্রের চক্রান্ত ঠেকাতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে পূজামণ্ডপে পাহারা দিচ্ছে। যাতে শান্তি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে। তাদের প্রতিহত করতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক