বিপিএলে বিদেশি তারকা না আসার কারণ জানালেন মিরাজ
Published: 24th, January 2025 GMT
৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বিদেশি তারকার সংখ্যা আশানুরূপ নয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টির মতো অর্থসমৃদ্ধ লিগগুলোর প্রচলন। বিপিএলের তুলনায় বেশি পারিশ্রমিক দেওয়ায় ক্রিকেটাররা এসব লিগে খেলতেই বেশি আগ্রহী। এমনকি চুক্তি সত্ত্বেও অনেকে বিপিএলে খেলতে আসেননি, আবার কেউ কেউ শুরুর দিকে খেলেই অন্য লিগে চলে গেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় তুলে নেয় খুলনা টাইগার্স। এই জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান রেখে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫০ বলে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি।
খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজকে জিজ্ঞেস করা হয় বিপিএলে বিদেশি তারকা না আসার বিষয়ে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিপিএল এমন সময়ে হওয়া উচিত, যখন আর কোনো বড় লিগ চলবে না। তখন অনেক মানসম্পন্ন বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া যাবে। আগের মতোই বড় তারকাদের খেলতে দেখা যাবে।’
মিরাজ আরও যোগ করেন, ‘বর্তমানে একসঙ্গে ৩-৪টি টুর্নামেন্ট চলছে। অনেক খেলোয়াড় আগেই সেসব লিগে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। যারা এখানে খেলছেন, তারা হয়তো অন্য লিগে সুযোগ পাননি। তাই এখনকার পরিস্থিতি বেশ কঠিন।’
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে জয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে মিরাজ বলেন, ‘ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুটি জয় তুলে নিয়ে আমরা শীর্ষ চারে আছি। তবে প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর টানা চারটি হার আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে সিলেট ও রংপুরের সঙ্গে কাছাকাছি ম্যাচগুলো হারাটা আমাদের জন্য হতাশার ছিল। এখন প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পরের দুটি ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে।’
দলের কম্বিনেশন নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। তাই বিভিন্ন পজিশনে খেলতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাকে কোন জায়গায় খেলাব, সেটা পুরোপুরি ঠিক করতে পারিনি। তবে আশা করি, এখন থেকে সেটা ঠিক করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলে অনেক অলরাউন্ডার থাকায় কিছু ভালো খেলোয়াড় একাদশের বাইরে বসে আছে। ইমরুল ভাই, আফিফ, রনি বা নাসুমের মতো খেলোয়াড়রাও কখনো কখনো বাইরে থাকছে। টিম কম্বিনেশনের কারণেই এমনটা হচ্ছে, তবে আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে
ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।