লক্ষ্যে পৌঁছাতে যে কয়টি নিয়ম মানতে পারেন
Published: 28th, February 2025 GMT
প্রত্যেক মানুষের জীবনেই একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। আপনিও নিশ্চয় ব্যতিক্রম নন। সফল ব্যক্তিরা বলেন, নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে জীবনে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন। আর শৃঙ্খলা আনার জন্য প্রয়োজন একটি রুটিন ওয়ার্ক। কীভাবে একটি কার্যকর রুটিন ওয়ার্ক মেনে চলবেন এবং নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও কি কি মেনে চলা প্রয়োজন, জেনে নিন।  
লক্ষ্য স্থির করা: বড় কোনো অর্জন করতে চাইলে কি চান, কেন চান আর কীভাবে আপনার এই চাওয়া পূরণ করবেন; এসব প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা থাকতে হবে। সেই অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বা স্বপ্ন বাস্তবায়নে কখন কতটুকু সময় দেবেন তা ঠিক করে নিতে পারেন।
ডেইলি রুটিন: দিনের শুরুটা কীভাবে করবেন, প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বের ভিত্তিতে কোন কাজ কখন সম্পাদন করবেন এই সবকিছু ডেইলি রুটিনে লিখে রাখতে পারেন। এবং সেই অনুযায়ী  ধ্যান, শরীরচর্চা, পড়াশোনা, কাজ, আউটিং সবকিছু করতে পারেন।  বড় লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিতে পারেন।
 শৃঙ্খলা মেনে চলুন: গবেষকেরা বলছেন অনুপ্রেরণার আয়ুষ্কাল খুব কম হয়ে থাকে। কারও অনুপ্রেরণায় কাজ শুরু করলে ধীরে ধীরে ইচ্ছা-শক্তি কমে আসতে পারে। তাই অনুপ্রেরাণাকে বড় করে না দেখে নিজের সিদ্ধান্তকে বড় করে দেখতে পারেন। এবং লক্ষ্যে পৌঁছাতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নিতে পারেন।   
আরো পড়ুন:
রোজা রাখলে শরীরে যেসব পরিবর্তন আসে
রান্নায় হলুদ বেশি হয়ে গেলে করণীয়
পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ: প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো পৃথিবীর কোথায় কখন কোন বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে সেগুলো ঘরে বসেও জানা যায়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক মিথ্যা খবর ভেসে বেড়ায়। এসব খবর দেখার ফলে আপনার মনে অস্থিরতা তৈরি হতে পারেন। সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় দেওয়া ঠিক নয়।
গবেষকেরা বলেন, কঠিন কাজগুলো আগে করলে উৎপাদনশীলতা অনেক বেড়ে যায়। 
  মানব জীবন কেবল মাত্র সুশৃঙ্খলভাবে এগোতে জানে না, মাঝে মধ্যে এই জীবনের একটু বিরতি প্রয়োজন হয়। একটানা মানসিক চাপ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করে গেলে কাজের মান পড়ে যেতে পারে, মনে ও শরীরে ক্লান্তি ভর করবে। এতে উৎপাদনশীলতা কমে যাবে। তাই বিরতি নেওয়া খুব প্রয়োজন। 
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরের ছয়টি আসনের ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
গাজীপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থীদের নাম পরে জানানো হবে।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি
গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে এম. মঞ্জুরুল করিম রনি। গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। গাজীপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান এবং গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া, শরিক দলের জন্য কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে।”
এর আগে, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সেই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে আনুষ্ঠানিক তফসিল।
এদিকে প্রার্থী ঘোষণার খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন তানিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ