৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত
Published: 21st, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। সরকারি-বেসরকারি নানা বৃত্তি নিয়ে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তি আছে। তেমনই একটি স্কলারশিপ ‘গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ’। এটি দেশটির মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় দেয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের।
এ স্কলারশিপের আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টি। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত এটি একটি পাবলিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এর মূল ক্যাম্পাসটি পার্কভিলে অবস্থিত।
সুযোগ-সুবিধা-
*সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে;
*প্রতি বছর আবাসন ভাতা হিসেবে ৩৮,৫০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৪৬ লাখ ৭৪ হাজার ১৮৫ টাকা, ২০ এপ্রিল বিকেল হিবেসে) দেবে;
*আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর অনুদান হিসেবে ৩০০০ ডলার দেবে;
*স্বাস্থ্য বিমা প্রদান করবে।
স্কলারশিপের সংখ্যা—
ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপসের আওতায় ৬০০টি স্কলারশিপ দেয়। স্কলারশিপগুলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব আলবার্টায় সম্পূর্ণ অর্থায়নের বৃত্তি, স্নাতক–স্নাতকোত্তর–পিএইচডিতে সুযোগ০৫ এপ্রিল ২০২৫প্রতি বছর আবাসন ভাতা হিসেবে ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার পাবেন শিক্ষার্থীরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজ্জাক-ছফার এক জীবন
মহাকবি আলাওল লিখেছেন, ‘গুরু মুহম্মদে করি ভক্তি, স্থানে স্থানে প্রকাশিত নিজ মনোউক্তি’। ‘যদ্যপি আমার গুরু’ বইটির বৈশিষ্ট্য আহমদ ছফা নিজেই শনাক্ত করেছেন আলাওলের লেখা এই পঙ্ক্তি দিয়ে। ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বইটি প্রকাশের আগে দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে দীর্ঘ চার মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল এই লেখা। অনেকেই সেই সময়ে লেখাটির প্রশংসা করেছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের জবানিতে লেখা কথাগুলো আহমদ ছফা নিজে বানিয়ে বানিয়ে লিখেছেন। অবশ্য মুখবন্ধে লেখক দাবি করেছেন, ‘আমার শিক্ষক অধ্যাপক রাজ্জাকের অনন্য ব্যক্তিত্বের মহিমা আমি যেভাবে অনুভব করেছি, অন্তত তার কিছুটা উত্তাপ দশজনের কাছে প্রকাশ করি।’
‘যদ্যপি আমার গুরু’ বই হিসেবে প্রকাশের সময় অধ্যাপক রাজ্জাক বেঁচে ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭০ সাল থেকে নিয়মিত অধ্যাপক রাজ্জাকের কাছে যাওয়া-আসা করতেন আহমদ ছফা। তাঁর ভাষায়, তাঁর কাছে অধ্যাপক রাজ্জাক ‘একদিনের জন্যও পুরানো হয়ে যাননি’। অধ্যাপক রাজ্জাকের বহুমাত্রিক দিক পাঠকের কাছে উন্মোচন করেছেন লেখক। সমালোচক-পণ্ডিতেরা এমনটাই মনে করেন।
অধ্যাপক রাজ্জাকের সংস্পর্শে এসে মানুষ হিসেবে চিন্তার কাঠামো-দেখার ভঙ্গি বদলে গিয়েছে—এ কথা নিঃসংকোচেই বলেছেন লেখক। অধ্যাপক রাজ্জাককে পিএইচডির সুপারভাইজার হিসেবে চেয়েছিলেন ছফা। এই অনুরোধ থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের ইতি টেনে শুরু হয় গুরু-শিষ্যের জ্ঞানজগতের সম্বন্ধ। যদিও বইটিতে ছফা উল্লেখ করেছেন, প্রচলিত নিয়ম ভেঙে সুযোগ দেওয়ার পরও তাঁর পক্ষে পিএইচডি করা সম্ভব হয়নি। পিএইডি শেষ করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি অধ্যাপক রাজ্জাকেই দায়ী করেছেন।
যদ্যপি আমার গুরু, আহমদ ছফা, প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী, প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮