যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজের জন্য পানামা ও সুয়েজ খাল বিনা মাশুলে ব্যবহার করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য গতকাল শনিবার খাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে দ্রুত অগ্রগতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিওকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কয়েক মাস ধরে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ খালের দিকেও মনোযোগ দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনপানামা খাল দখল করতে গেলে বিপদে পড়তে পারেন ট্রাম্প২৩ জানুয়ারি ২০২৫

ট্রাম্প তাঁর ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমেরিকান সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজকে পানামা ও সুয়েজ খাল দিয়ে বিনা মাশুলে চলাচলের অনুমতি দেওয়া উচিত!’

ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই দুটি রুটের ‘অস্তিত্বই থাকত না’। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে ‘অবিলম্বে বিষয়টি দেখভাল’ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পানামা খাল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মহাকাশে হারিয়ে গেছে গ্রিনহাউস গ্যাস পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো স্যাটেলাইট

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন পর্যবেক্ষণের জন্য মহাকাশে পাঠানোর পর একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে হারিয়ে গেছে। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও নিউজিল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত স্যাটেলাইটটি তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন পর্যবেক্ষণ করত সক্ষম স্যাটেলাইটটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে মহাকাশে অদৃশ্য হয়ে গেছে স্যাটেলাইট।

নিউজিল্যান্ড স্পেস এজেন্সির কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু জনসন জানিয়েছেন, এটি বেশ হতাশাজনক। মহাকাশ নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা জানেন, এমন অভিযান খুবই চ্যালেঞ্জের। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ প্রতিরক্ষা তহবিলের অংশ হিসেবে এই স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ প্রতিরক্ষা তহবিলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যামি মিডলটন বলেন, ‘আমরা এটিকে ব্যর্থতা নয়, বিপত্তি হিসেবে দেখছি। গত বছরের মার্চ মাসে মিথেনস্যাটের সূচনা হয়।’

আরও পড়ুনমহাকাশে সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে কোন কোন দেশের০৪ জুলাই ২০২৫

মিথেন সাধারণভাবে শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস। এই গ্যাসের কারণে ২০ বছরের মেয়াদকালে কার্বন ডাই–অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ উষ্ণায়নের ক্ষমতা রয়েছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, তেল ও গ্যাসকূপের লিকেজ বন্ধ করতে না পারলে মিথেন গ্যাসের প্রভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দ্রুত বাড়বে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ