নির্বিঘ্ন চলাচলে মেট্রোরেলের আরো ৫ স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থা
Published: 3rd, May 2025 GMT
বৈদ্যুতিক গোলযোগের মতো নানা ত্রুটি দ্রুত সারিয়ে মেট্রোরেল চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকে পাঁচটি স্টেশনে নিয়মিত থাকছেন কারিগরি দলের কর্মীরা। এতদিন শুধু উত্তরার দিয়াবাড়ি ডিপোতেই ছিলেন তারা।
এখন শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, পল্লবী ও উত্তরা উত্তর স্টেশনেও দায়িত্ব পালন করছেন কারিগরি দলের কর্মীরা। এতে মেট্রোরেলের যেকোনো সমস্যার সমাধান মিলবে সহজেই, ভোগান্তি কমবে যাত্রীদের।
মেট্রোরেলে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে প্রতিদিন চলাচল করছেন ৪ লাখের বেশি যাত্রী। কিন্তু, অনেক সময় কারিগরি ত্রুটির জন্য বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন, বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।
এ ধরনের সমস্যা দ্রুত সমাধানে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেছেন, এত দিন মেরামতের জন্য নিয়োজিত কর্মীরা বসতেন শুধু দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল ডিপোতে। ফলে, ফার্মগেট, শাহবাগ বা মতিঝিলের মতো দূরের স্টেশনে কোনো সমস্যা হলে উত্তরা থেকে সড়কপথে যানজট ঠেলে কারিগরি দলের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগত।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ডিপো ছাড়াও আরো পাঁচটি স্টেশনে এই কর্মীদের থাকা বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, মেট্রোরেলের নানা অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরা হলেও তা আমলে নেয়নি বিগত সরকার। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড.
মেট্রোরেলের এমআরটি সিক্স লাইনে মোট স্টেশন ১৭টি। এর মধ্যে কমলাপুর বাদে বাকি সব স্টেশন চালু আছে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘তথ্য আপা’ প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের অভিযান
‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পে অনিয়ম ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ছিল মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযানের সময় প্রকল্পের ব্যয়–সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংগ্রহ করা হয়। এসব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, নারীদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।
আরও পড়ুন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পে ৫ মাস ধরে বেতন নেই, এখন অফিস ছাড়ারও নোটিশ১১ জানুয়ারি ২০২৫