বৈদ্যুতিক গোলযোগের মতো নানা ত্রুটি দ্রুত সারিয়ে মেট্রোরেল চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকে পাঁচটি স্টেশনে নিয়মিত থাকছেন কারিগরি দলের কর্মীরা। এতদিন শুধু উত্তরার দিয়াবাড়ি ডিপোতেই ছিলেন তারা।

এখন শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, পল্লবী ও উত্তরা উত্তর স্টেশনেও দায়িত্ব পালন করছেন কারিগরি দলের কর্মীরা। এতে মেট্রোরেলের যেকোনো সমস্যার সমাধান মিলবে সহজেই, ভোগান্তি কমবে যাত্রীদের।

মেট্রোরেলে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে প্রতিদিন চলাচল করছেন ৪ লাখের বেশি যাত্রী। কিন্তু, অনেক সময় কারিগরি ত্রুটির জন্য বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন, বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

এ ধরনের সমস্যা দ্রুত সমাধানে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেছেন, এত দিন মেরামতের জন্য নিয়োজিত কর্মীরা বসতেন শুধু দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল ডিপোতে। ফলে, ফার্মগেট, শাহবাগ বা মতিঝিলের মতো দূরের স্টেশনে কোনো সমস্যা হলে উত্তরা থেকে সড়কপথে যানজট ঠেলে কারিগরি দলের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগত। 

গত বৃহস্পতিবার থেকে ডিপো ছাড়াও আরো পাঁচটি স্টেশনে এই কর্মীদের থাকা বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, মেট্রোরেলের নানা অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরা হলেও তা আমলে নেয়নি বিগত সরকার। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড.

এম শামসুল হক বলেছেন, আগামী দিনে মেট্রোরেল চলাচল স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে সঠিক পরিকল্পনা ও জবাবদিহি থাকতে হবে।

মেট্রোরেলের এমআরটি সিক্স লাইনে মোট স্টেশন ১৭টি। এর মধ্যে কমলাপুর বাদে বাকি সব স্টেশন চালু আছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত‍্য হচ্ছে না: এবি পার্টি

আমার বাংলা‌দেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, “৩২টি রাজনৈতিক দল নিয়ে ব‍্যাপক আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এর আগে দলগুলো নিজেদের কয়েক মাস ধরে বক্তব‍্য উপস্থাপন করার জন্য আলাদা আলাদা বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছিল। তারপরও গত তিন দিন ধরে ব‍্যাপক আলোচনা, বিশ্লেষণ চলছে কিন্তু কোন বিষয়েই ঐকমত‍্য হচ্ছে না।”

বৃহস্প‌তিবার (১৯ জুন) ঐকমত‍্য কমিশনের বৈঠক শেষে তি‌নি এ কথা ব‌লেন।

মঞ্জু বলেন, “আমরা যে যত কথাই বলি না কেন জনগণ চায় আমরা একটা ঐকমত‍্যে পৌঁছাই। নাগরিকরা এতদিন যাদেরকে প্রচলিত রাষ্ট্র ব‍্যবস্থার কাছে ভয়ঙ্করভাবে নির্যাতিত হতে দেখেছেন তারা যখন কার্যত: ক্ষেত্রে সংস্কারে অনাগ্রহী হয় তখন জনগণ কিছুটা হলেও আশাহত হয়।”

“ইতোমধ্যে এনসিসি গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসহ কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি,,” যা খুব দুঃখজনক ব‌লেও মন্তব‌্য ক‌রেন তি‌নি।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার চাইতেও মর্যাদার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ ক‌রে মঞ্জু ব‌লেন, “তিনি রাষ্ট্রের ঐক্যের প্রতীক। প্রচলিত পদ্ধতিতে একজনকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলেই রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়। সেজন্য আমরা চাই প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদ সদস্যের বাইরে একটা ইলেকট্রোরাল কলেজ গঠনের প্রস্তাবকে এবি পার্টি সমর্থন করে।”

এর আগে ঐকমত্য কমিশনের সভায় প্রদত্ত বক্তব‍্যে মঞ্জু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দলের অভিমত তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ সম্পর্কিত আলোচনায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব‍্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, “কর্তৃত্ববাদী শাসন কাঠামো আর যাতে ফিরে আসতে না পারে সেই জন্য বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি যাতে দুইবারের বেশি বিরামহীনভাবে বা অন্য যেকোনো ভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে ব‍্যবস্থা প্রবর্তন করা প্রয়োজন।”

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন,“দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বাংলাদেশে প্রবর্তনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুপস্থিত বলে মনে করলেও জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে এবি পার্টি তার অবস্থান পরিবর্তন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ