ঢাকা মোটর শোতে তরুণদের বেশি আগ্রহ বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলে
Published: 3rd, May 2025 GMT
গাড়ি, মোটরসাইকেল, বৈদ্যুতিক যানবাহন কিংবা মোটরের যন্ত্রাংশ; তার সবই ছিল রাজধানীর আইসিসিবির চারটি হল জুড়ে আয়োজিত দেশের ১৮তম মোটর শোতে। তাই মোটরযানপ্রেমীদের কাছে এই প্রদশর্নীর ছিল বাড়তি আকর্ষণ। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টলে শুধু গাড়ি ও মোটরসাইকেল প্রদর্শন নয়, উপস্থাপনাতেও ছিল ভিন্নতা। তবে ক্রেতাদের আগ্রহ ও ভিড় ছিল ২ নম্বর হলের মোটরসাইকেলের স্টলগুলো ঘিরে। সেমস গ্লোবাল তিন দিনের এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। আজ শনিবার ছিল মোটর শোর শেষ দিন।
মোটরসাইকেলের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ছিল বাজাজ, স্পিডোজসহ ডংজিন গ্রুপ ও সালিদা ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল। সরেজমিনে দেখা যায়, মোটরসাইকেল প্রদর্শনীর দুই–তৃতীয়াংশ দখলে ছিল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল।
বাংলাদেশে প্রায় দুই বছর ধরে বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল বাজারজাত করছে চীনা প্রতিষ্ঠান সালিদা ইলেকট্রিক ভেহিকেল। মূলত ৬০০ থেকে ৩ হাজার ওয়াটের মোট ১২টি মডেলের মোটরসাইকেল বাজারে পাওয়া যায়। বৈদ্যুতিক এ মোটরসাইকেলগুলো একবার চার্জে ৮০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। চীনা এ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের দাম ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার মধ্যে। প্রতিটি মোটরসাইকেল চাইলে চাবি ছাড়া এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) কার্ড দিয়ে চালানো যাবে।
আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান ডংজিন আট বছর ধরে দেশের বাজারে ব্যাটারি বিক্রি করে আসছে। তারাও এ বছর দেশের বাজারে সাতটি মডেলের বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল বাজারে নিয়ে এসেছে। চীন থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করে দেশে সংযোজন করা হয় এ প্রতিষ্ঠানের মোটরসাইকেলে। ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কিলোওয়াটের একেকটি মোটরসাইকেলের দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে।
ডংজিনের বিক্রয় নির্বাহী জাহিদ হাসান বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলের চাহিদা বাড়ছে। তাই এ বছর আমরা সাতটি মডেল বাজারে এনেছি। মেলায় বেশ সাড়া পেয়েছি। পরিবেশবান্ধব ও দাম কিছুটা কম হওয়ায় দিন দিন বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা বাড়ছে।’
মোটর শোতে যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছিলেন জামাল উদ্দিন। মোটরসাইকেল দেখতে আসা এই তরুণ প্রথম আলোকে জানান, এবারের আয়োজনে নতুন অনেক মোটরসাইকেল এসেছে। মেলায় বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলের সংগ্রহ বেশি। দামও অনেকটা নাগালের মধ্যে।
এবারের ঢাকা মোটর শোতে উত্তরা মোটরসের বাজাজ পালসার এফ২৫০ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস মোটরসাইকেলের উদ্বোধন করা হয়। ২৫০ সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলটির বাজারমূল্য ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্পিডোজ লিমিটেড বাজারে এনেছে জিপিএক্স ও কিউজের এবিএস ও ননএবিএস মডেলের মোটরসাইকেল। এগুলোর দাম ২ লাখ ২৪ হাজার থেকে ৩ লাখ ৭৫ টাকা। এ ছাড়া বিখ্যাত মোটরসাইকেল যন্ত্রাংশের প্রতিষ্ঠান আরসিবির স্টলেও ছিল তরুণ বাইকারদের চোখে পড়ার মতো ভিড়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।