৩২ কোটি টাকা মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের
Published: 4th, May 2025 GMT
মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি–মার্চ) সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি টাকায়। তাতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়ায় ৩৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ৭৪ কোটি টাকা। গত বছরের জানুয়ারি–মার্চে সামিট পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৬৯ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা ৩২ কোটি টাকা বা প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে গেছে।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের আর্থিক হিসাবও প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। তাতে নয় মাসে (জুলাই–মার্চ) কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৪৬ কোটি টাকা। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা মুনাফা দাঁড়ায় ১ টাকা ৪৬ পয়সায়। আগের অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ২৫৬ কোটি টাকা। ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। সেই হিসাবে নয় মাসের তুলনায় এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা কমেছে ১০০ কোটি টাকা বা ৩৯ শতাংশ।
সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের (ডিএসই) প্রকাশের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়।
শেয়ারপ্রতি আয় বা মুনাফা কমার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, কোম্পানিটির একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তি আর নবায়ন হয়নি। আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আংশিকভাবে উৎপাদন করেছে। ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার থেকে বলা হয়েছে, চাহিদা কম। সে কারণে ওই কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যেতে পারেনি। এ ছাড়া আরও তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নবায়ন হওয়ার পর নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেটা হলো, বিদ্যুৎ নেই, বিলও নেই। ক্যাপাসিটি রাজস্ব আয়ও হয়নি। এ ছাড়া প্রাথমিক চুক্তি শেষ হওয়ার পর আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের কর বেড়েছে। এসব কারণে কোম্পানিটির আয় কমে গেছে। আয় কমে যাওয়ায় মুনাফাও কমেছে।
এদিকে গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ৭ টাকা ২৩ পয়সা, যা আগের বছর ৭ টাকা ৫ পয়সা ছিল। গত ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪২ টাকা ৫৫ পয়সা।
২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সামিট পাওয়ার। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল
পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার বেশি গরমিল পাওয়া গেছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বুক বা লেজারে নগদ অর্থ দেখিয়েছে ৯১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। তবে ব্যাংক স্টেটমেন্টে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির হিসাবের সঙ্গে ব্যাংক স্টেটমেন্টের পার্থক্য পাওয়া গেছে ৪৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
এদিকে, বিমা কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে এজেন্টের কাছে পাওনা হিসেবে ২৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা দেখিয়ে আসছে, যা আদায়যোগ্য বলে মনে হয়নি। এরপরেও ওই ফান্ডের সম্ভাব্য লোকসানের বিপরীতে আইএফআরএস-৯ অনুযায়ী কোম্পানিটি সঞ্চিতি গঠন করেনি।
এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ব্যাংকে দেখানো ৬৫ লাখ টাকার হিসাবগুলো দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন না করায় নিস্ক্রিয় (ডরমেন্ট) হয়ে গেছে। তবে যাচাই-বাছাই করে ওইসব হিসাবে ৩০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৩৫ লাখ টাকার বেশি সম্পদ দেখিয়েছে।
রূপালী লাইফ থেকে কর্মীদেরকে অগ্রিম বেতন ও মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও মোবাইলের জন্য অগ্রিম ২১ লাখ টাকা প্রদান করেছে। কিন্তু এই অগ্রীম প্রদানকৃত হিসাব দীর্ঘদিন ধরে একই অবস্থায় রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন সমন্বয় করা হয়নি। তারপরেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই অগ্রিম আদায় বা সমন্বয় নিয়ে সম্ভাব্য লোকসানের বিপরীতে কোম্পানি কোন সঞ্চিতি গঠন করেনি।
ঢাকা/এনটি/ইভা