অনেকেরই চোখ পিটপিট করা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে চোখের পাতায় কম্পন (আইলিড টুইচিং) হওয়ার সমস্যা আছে। কথ্য বাংলায় আমরা অনেক সময় একে ‘চোখ লাফানো’ও বলি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি সাময়িক এবং বিপজ্জনক নয়, তবে কখনো কখনো এটি বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে।

চোখ পিটপিট করার সাধারণ কারণ

চোখের ক্লান্তি: দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার, মুঠোফোন, টিভি দেখার কারণে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

চোখের শুষ্কতা: বিশেষ করে যাঁদের বয়স বেশি বা যাঁরা লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের চোখে শুষ্কতা হতে পারে।

মানসিক চাপ: অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তা থাকলে চোখে কম্পন দেখা দেয়।

ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে স্নায়ু দুর্বল হয় এবং চোখ পিটপিট করতে পারে।

ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল: অতিরিক্ত চা, কফি বা অ্যালকোহল গ্রহণ করলে স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়ে।

পুষ্টির ঘাটতি: বিশেষ করে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির কারণে এই সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুনচোখ ভালো রাখতে চাইলে এসব খাবার খান০৪ নভেম্বর ২০২৪চোখ পিটপিট করার পাশাপাশি যেসব লক্ষণ থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরি

পিটপিট করা বন্ধ না হওয়া বা অনেক দিন ধরে চলা

পুরো চোখের পাতা বা মুখের একপাশ কেঁপে ওঠা

চোখ লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া বা ব্যথা অনুভব করা

দৃষ্টিশক্তি কমে আসা

এসব ক্ষেত্রে এটি ব্লিফেরোস্প্যাজম, হেমিফেশিয়াল স্প্যাজম বা অন্য কোনো স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

প্রতিকার কী কী

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

চোখকে বিশ্রাম দিন: দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে প্রতি ২০ মিনিটে একবার ২০ ফুট দূরের কিছু দেখুন, ২০ সেকেন্ডের জন্য (২০-২০-২০ নিয়ম)।

চোখ আর্দ্র রাখুন: প্রয়োজনে আইড্রপ ব্যবহার করতে পারেন (চিকিৎসকের পরামর্শে)।

মানসিক চাপ কমান: রিলাক্সেশন বা মেডিটেশন চেষ্টা করতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবার খান: ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার (বাদাম, কলা, পালংশাক) বেশি খান।

ক্যাফেইন খাওয়া কমিয়ে দিন: চা-কফি কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

চোখ ঠান্ডা রাখুন: মাঝেমধ্যে চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।

চোখ পিটপিট করা সাধারণত গুরুতর কিছু নয়। নিজের যত্ন নিলে ঠিক হয়ে যায়। তবে যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য উপসর্গ দেখা দেয়, দেরি না করে একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

লেখক: ডা.

গোলাম রাব্বানী, কনসালটেন্ট, বাংলাদেশ আই হাসপাতাল, জিগাতলা লিমিটেড

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’

ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি

ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!

কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।

৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।

ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।

গোল করলেন জেরেমি ডকু

সম্পর্কিত নিবন্ধ