চোখ পিটপিট করে কেন? চোখ পিটপিট করলে কী করব
Published: 4th, May 2025 GMT
অনেকেরই চোখ পিটপিট করা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে চোখের পাতায় কম্পন (আইলিড টুইচিং) হওয়ার সমস্যা আছে। কথ্য বাংলায় আমরা অনেক সময় একে ‘চোখ লাফানো’ও বলি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি সাময়িক এবং বিপজ্জনক নয়, তবে কখনো কখনো এটি বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে।
চোখ পিটপিট করার সাধারণ কারণচোখের ক্লান্তি: দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার, মুঠোফোন, টিভি দেখার কারণে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
চোখের শুষ্কতা: বিশেষ করে যাঁদের বয়স বেশি বা যাঁরা লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের চোখে শুষ্কতা হতে পারে।
মানসিক চাপ: অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তা থাকলে চোখে কম্পন দেখা দেয়।
ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে স্নায়ু দুর্বল হয় এবং চোখ পিটপিট করতে পারে।
ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল: অতিরিক্ত চা, কফি বা অ্যালকোহল গ্রহণ করলে স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়ে।
পুষ্টির ঘাটতি: বিশেষ করে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুনচোখ ভালো রাখতে চাইলে এসব খাবার খান০৪ নভেম্বর ২০২৪চোখ পিটপিট করার পাশাপাশি যেসব লক্ষণ থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরিপিটপিট করা বন্ধ না হওয়া বা অনেক দিন ধরে চলা
পুরো চোখের পাতা বা মুখের একপাশ কেঁপে ওঠা
চোখ লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া বা ব্যথা অনুভব করা
দৃষ্টিশক্তি কমে আসা
এসব ক্ষেত্রে এটি ব্লিফেরোস্প্যাজম, হেমিফেশিয়াল স্প্যাজম বা অন্য কোনো স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
প্রতিকার কী কীপর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
চোখকে বিশ্রাম দিন: দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে প্রতি ২০ মিনিটে একবার ২০ ফুট দূরের কিছু দেখুন, ২০ সেকেন্ডের জন্য (২০-২০-২০ নিয়ম)।
চোখ আর্দ্র রাখুন: প্রয়োজনে আইড্রপ ব্যবহার করতে পারেন (চিকিৎসকের পরামর্শে)।
মানসিক চাপ কমান: রিলাক্সেশন বা মেডিটেশন চেষ্টা করতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবার খান: ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার (বাদাম, কলা, পালংশাক) বেশি খান।
ক্যাফেইন খাওয়া কমিয়ে দিন: চা-কফি কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
চোখ ঠান্ডা রাখুন: মাঝেমধ্যে চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।
চোখ পিটপিট করা সাধারণত গুরুতর কিছু নয়। নিজের যত্ন নিলে ঠিক হয়ে যায়। তবে যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য উপসর্গ দেখা দেয়, দেরি না করে একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
লেখক: ডা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পকলায় বরেণ্য তিনসংস্কৃতিসাধককে স্মরণ
শিল্পকলা একাডেমিতে নানা আয়োজনে স্মরণ করা হলো তিন বরেণ্য সংস্কৃতিসাধক আলোকচিত্রী আমানুল হক, আলোকচিত্র গবেষক ড. নওয়াজেশ আহমদ এবং কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক সমর দাসকে। বৃহস্পতিবার জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার কক্ষ এবং জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ‘মনীষী স্মরণ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানানো হয়।
বিকেল ৪টায় জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় আমানুল হক ও ড. নওয়াজেশ আহমদের জীবন, কর্ম ও আলোকচিত্র শিল্পে তাদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুন ও চিত্রশিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভী। দেশের বাইরে থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ‘আমানুল হক আর্কাইভস’-এর তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক আহমেদ অরূপ কামাল। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমানুল হক ও ড. নওয়াজেশ আহমদ শুধু আলোকচিত্রের নান্দনিক ভুবনেই নয় বরং দেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বহুমাত্রিক দলিল নির্মাণেও অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের আলোকচিত্র দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।
সন্ধ্যা ৬টায় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় সমর দাস স্মরণ অনুষ্ঠান। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। পরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে সমর দাসের সুর করা কালজয়ী গান এবং সেই সুরে নৃত্যের অপূর্ব মেলবন্ধন দর্শকদের আবিষ্ট করে তোলে।
জাতীয় নাট্যশালায় ‘দেয়াল জানে সব’
সময়ের রক্তাক্ত অভিজ্ঞতা আর স্বপ্নভঙ্গের প্রতিধ্বনি নিয়ে মঞ্চে এলো নতুন নাট্য প্রযোজনা ‘দেয়াল জানে সব’। ‘মনসুন রেভ্যুলেশন’-এর স্পিরিটকে উপজীব্য করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে হয় নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। প্রযোজনা ও পরিবেশনায় ছিল নাট্যদল স্পন্দন থিয়েটার সার্কেল। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাকিল আহমেদ সনেট। নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী আজ সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে একই মিলনায়তনে। দর্শকের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনী।