চবিতে বৈধভাবে বরাদ্দ পেয়েও আসন স্থগিত, হলগেটে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
Published: 4th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে বৈধভাবে আসন বরাদ্দ দিয়ে পরে স্থগিত করায় কাঁথা-বালিশ নিয়ে হলগেটে অবস্থান করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে হলটির প্রধান গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। হলে না উঠানো পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর ফরহাদ হোসেন হলে আবাসন বরাদ্দের আবেদন নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর ভিত্তিতে আইসিটি সেল কর্তৃক বরাদ্দপ্রাপ্তদের ফলাফল দেওয়া হয়। হলে সিট সংখ্যা ৭০০। এর মধ্যে ৫৩০ জন শিক্ষার্থীর সিট নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অধিকাংশ হলটিতে উঠেছেন। মৌখিক পরীক্ষায় বাকি ১৭০ জন শিক্ষার্থীর সিট স্থগিত রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
‘সংবিধান ও গণতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রধান চ্যালেঞ্জ’
সৈকতে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করল চবি বিএনসিসি
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, বর্ষ নিয়ে প্রশাসন যে সমস্যার কথা জানিয়ে আমাদের সিট স্থগিত রেখেছে, আসলে এতে আমাদের কোনো ভুল ছিল না। আবেদন ফরম অনুযায়ী আমাদের সবকিছু শতভাগ সঠিক। পরে প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে যৌক্তিক সমাধানের কথা জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এতে আবাসন নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো.
তিনি বলেন, “সমস্যার সমাধানের জন্য প্রাধ্যক্ষ থেকে আইসিটি সেল হয়ে প্রক্টর অফিস, উপ-উপাচার্য অফিসে গত ১৩ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত চরকির মতো ঘুরানো হচ্ছে আমাদের। প্রশাসন থেকে সমাধানের আশ্বাস দিলেও তার কোনো অগ্রগতি নেই। গত ২৬ এপ্রিল থেকে হলে উঠার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ায় সবাই মেস বা বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এখন যাযাবরের মতো এখানে সেখানে থাকতে হচ্ছে আমাদের।”
তিনি আরো বলেন, “প্রশাসন সমাধানের কথা বললেই আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য সমাবর্তনের পরে দেখবে বলে দায়মুক্ত হচ্ছে। তাদের ভুলের কারণে সৃষ্ট সমস্যার কারণে দিনের পর দিন হয়রানি করছে আমাদের। হল উদ্বোধন হয়েছে, একইসঙ্গে আসন বরাদ্দ পাওয়া একাংশ হলে থাকতে। এদিকে আমাদের বরাদ্দ পাওয়া সিটগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। অথচ আমাদের থাকার জায়গা নেই।”
“নিরুপায় হয়ে আজ শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা আবাসন সংকটে লেখাপড়ারও পরিবেশ পাচ্ছি না, মাথা গোজারও ঠাঁই পাচ্ছি না। অথচ প্রশাসনের আন্তরিকতার ঘাটতির কারণে সমস্যার সমাধান দিনের পর দিন বিলম্বিত হচ্ছে। এই হয়রানির শেষ কোথায়?,” যুক্ত করেন শরিফুল ইসলাম।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আরবি সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী নোমান ইবনে মুসলিম উদ্দিন বলেন, “প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি। এর শেষ কোথায়? শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের আসন পেয়েও আমাদের সিট স্থগিত করা করায় নিরুপায় হয়ে আজ আমরা অবস্থান কর্মসূচি করছি।”
এদিকে, ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে চবি শাখা ছাত্রদল।
শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “তারা আবেদন ফরম অনুযায়ী বৈধভাবেই সিট বরাদ্দ পেয়েছে। এখন আবাসনের অভাবে তারা ভোগান্তিতে আছেন। দ্রুত তাদের হলে উঠানো হোক। আমরা তাদের পাশে আছি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় আসন বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “তারা আবেদনে একটি ভুল করেছে। সমাবর্তনের পর তাদের হলে উঠাব বলেছি এবং সমাবর্তনের আগে সমস্যাটি আমরা সমাধান করব। এখন তারা অবস্থান কর্মসূচি করলে কিছু বলার নেই।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর দ দ প আম দ র স সমস য র ন র পর
এছাড়াও পড়ুন:
‘তথ্য আপা’ প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের অভিযান
‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পে অনিয়ম ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ছিল মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযানের সময় প্রকল্পের ব্যয়–সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংগ্রহ করা হয়। এসব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, নারীদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।
আরও পড়ুন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পে ৫ মাস ধরে বেতন নেই, এখন অফিস ছাড়ারও নোটিশ১১ জানুয়ারি ২০২৫