সামিট গ্রুপের ৫৬ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 4th, May 2025 GMT
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারের নামে থাকা লুক্সেমবার্গে কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
জানা যায়, বিনিয়োগ করা সম্পদের মূল্য ৪১ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
রোববার দুদকের উপপরিচালক আলমগীর হোসেন এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, সামিট গ্রুপ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি এবং অপরাধমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলছে।
এর আগে গত ৯ মার্চ সামিট গ্রুপের ১৯১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব হিসাবে ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬০ টাকা রয়েছে। গত ১১ মার্চ তাদের ৫৪ কাঠা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত মূল্য ৯ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশিদের জন্য ইউএই’র ভিসা পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে টেকসই কূটনৈতিক সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু পুনরায় শুরু করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইউএই’র বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আলহমুদি রোববার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউএই সরকারের সঙ্গে লুৎফে সিদ্দিকীর সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন, যার মধ্যে অর্ধ-ডজনেরও বেশি মন্ত্রী পর্যায়ের সফর রয়েছে। যেখানে ভিসা সহজ করা থেকে শুরু করে বিনিয়োগ সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত আলহমুদি বিশেষ দূতকে জানান যে, ঢাকায় ইউএই দূতাবাস বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। এর পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য দলীয় ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যা ব্যক্তি পর্যায়ে যোগাযোগ এবং বাণিজ্য বিনিময়কে ত্বরান্বিত করছে।
এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির অংশ হিসেবে ইউএই মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।
ফলে মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেলকর্মীদের মতো পেশাজীবীদের জন্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য ৫০০ ভিসা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং আরও ১,০০০ ভিসা অনুমোদিত হয়েছে যা অচিরেই ইস্যু করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে ইউএই ধীরে ধীরে ভিসা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করবে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উত্থাপিত মানবিক ও সহানুভূতিশীল মামলাগুলোর প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানান এবং রাষ্ট্রদূত আলহমুদির উন্মুক্ততা ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) নিয়ে আলোচনার সূচনার জন্যও কৃতজ্ঞতা জানান এবং উল্লেখ করেন যে উভয় পক্ষ ইতিমধ্যে আলোচনার রূপরেখা নিয়ে একমত হয়েছে।
এই মাসের শেষের দিকে ইউএই মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নেবে।