স্কুলশিক্ষার্থীদের জন্য এআই শিক্ষা চালু করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত
Published: 5th, May 2025 GMT
প্রযুক্তিভিত্তিক নেতৃত্ব ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দেশের সব বয়সের স্কুলশিক্ষার্থীর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)–বিষয়ক পাঠ্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে। দেশটির কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
কিন্ডারগার্টেন পর্যায় থেকে সব ধরনের সরকারি স্কুলে আগামী শিক্ষাবর্ষে শুরু হচ্ছে এআই বিষয়ে পাঠদান। দুবাইয়ের শাসক ও আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এই তথ্য জানিয়ে খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে একটি বার্তা দিয়েছেন।
গতকাল রোববার এক্সে দেওয়া ওই বার্তায় শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কারিগরি দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বনে শিশুদের এআইয়ের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানানো এবং একই সঙ্গে তাদের এই নতুন প্রযুক্তির নৈতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত করা। বর্তমান যুগে আমাদের দায়িত্ব হলো শিশুদের পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারা শেখানো।’
আরও পড়ুনজাপানের মেক্সট বৃত্তি, মাসে ১ লাখ ১৭ হাজার ইয়েন, একাদশ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরও সুযোগ১১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের অর্থনীতিকে অপরিশোধিত জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বৈচিত্র্যময় করতে এআইকে অন্যতম কৌশলগত খাত হিসেবে বেছে নিয়েছে। ২০১৭ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এআই মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে। ইতিমধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য রাজধানী আবুধাবিতে একটি এআই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে দেশটি। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমিরাত তিন থেকে পাঁচ হাজার কোটি ইউরো খরচে ফ্রান্সে একটি সুবিশাল এআই ডেটা সেন্টার নির্মাণের অঙ্গীকারও করেছে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণের সময় আবার বাড়ল৬ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে কূটনৈতিক সমঝোতা স্মারক সই
দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও লাওস ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভিয়েতনামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. লুৎফর রহমান। লাওস সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভিয়েতনামে লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান।
সমঝোতা স্মারকটিকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান বলেন, “এই চুক্তি দুদেশের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক সভা ও আলোচনার পথ সুগম করবে। বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বিনিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সর্বোপরি, এটি দুদেশের মধ্যে একটি টেকসই দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে চায়- এই অভিপ্রায় পুনঃব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “এই সমঝোতা স্মারকটি শুধু দ্বি-পাক্ষিক বন্ধন জোরদারই করবে না বরং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামেও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরস্পরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।”
বাংলাদেশকে লাওসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান এই ঐতিহাসিক চুক্তি সফলভাবে স্বাক্ষরে বাংলাদেশ দূতাবাসের সক্রিয় প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত এনথাভান বলেন, “আজকের এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠানের একটি স্থায়ী ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হলো যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়সহ নানা ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা যায়।”
বাংলাদেশ ও লাওস ১৯৮৮ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের গঠনমূলক কূটনৈতিক সভা ও সংলাপ সংক্রান্ত প্রথম চুক্তি।